দিদি ডাকাবুকো, দেশের সেনাবাহিনীর উচ্চপদে আসীন। তাঁর অপারেশনে শত্রুদেশের থরহরিকম্প দশা! দেশরক্ষার কাজে যেমন দক্ষ, নির্ভরযোগ্য, তেমনই বাকপটু। নিজের কাজের খুঁটিনাটি সুন্দর করে তুলে ধরেন জনতার সামনে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে ভারতের অপারেশন সিঁদুরে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে দুই কন্যার। তারই একজন কর্নেল সোফিয়া চৌধুরী।
তাঁর কৃতিত্বের কথা এতদিন সকলে জেনেছেন। নতুন করে বলার নেই। আমাদের এই প্রতিবেদনের নায়িকা সোফিয়ারই যমজ বোন সাইনা সানসারা। যিনি দিদির মতোই বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন নারী। মডেলিং, ফ্যাশন জগৎ তাঁর কর্মক্ষেত্র। আবার অর্থনীতির মতো বিষয় নিয়ে বড় ডিগ্রিও আছে সাইনার। গুজরাটের ভাদোদরার সেনা পরিবারের দুই বোন যেন একে অপরকে সমানে সমানে টেক্কা দিচ্ছে!
সাইনা সানসারাকে বলা হয়ে ভাদোদরার ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’। মডেলিং থেকে শুরু করে ফ্যাশন ডিজাইনিং, প্রযোজনা, অর্থনীতির চর্চা, রাইফেল শুটিং, পরিবেশরক্ষায় কাজকর্ম – কী না করেছেন? র্যাম্পে হেঁটে তাঁর মুকুটে যুক্ত হয়েছে একাধিক পালক। ‘মিস গুজরাট’, ‘মিস ইন্ডিয়া আর্থ ২০১৭’, ‘মিস ইউএসএ ২০১৮’ খেতাব রয়েছে তাঁর। ২০১৮ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান সাইনা
রাইফেল শুটিংয়ে অত্যন্ত দক্ষ কর্নেল সোফিয়া কুরেশির বোন। গোল্ড মেডেল জয়ী সাইনা নিজেও সেনার ক্যাডেট ছিলেন। সাইনার কথায়, ”আমরা সেনা পরিবারের দুই বোন। সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ায় আমাদের আগ্রহ স্বাভাবিক। ও (সোফিয়া) নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছে। ও নিজের লক্ষ্যে একদম স্থির ছিল বরাবর। বলত যে সেনায় সুযোগ না পেলে পুলিশ হবে।” তবে সাইনা নিজে সেনার ক্যাডেট হয়েও সরাসরি তাতে যোগ দেননি। নিজের পছন্দমতো বেছে নিয়েছেন কেরিয়ার। আর তাতেই তাঁর প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটেছে। বিশেষত ফ্যাশন দুনিয়ায় স্বকীয়তার ছাপ রেখেছেন সাইনা। আধুনিক পোশাকে ঐতিহ্যের স্পর্শ এটাই তাঁর বিশেষ স্টাইল।
অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে কিছু জানতেন? এই প্রশ্নের জবাবে সাইনা জানাচ্ছেন, ”ওর সঙ্গে (সোফিয়া) কথা হয়েছিল ফোনে। এত বড়া কাজ করতে যাচ্ছে, কিছুই বলেনি। সকালে এক আত্মীয় ফোন করে বললেন, টিভিতে দেখাচ্ছে। আমি তো অবাক! এত ভালো লেগেছে, কী বলব? আমাদের সরকার, মোদি সরকার দারুণ জবাব দিয়েছেন পাকিস্তানকে।”
এমআর/টিএ