যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সোমবার ঘোষণা করেছেন, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে তিনি দেশটির নিট অভিবাসন উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি যুক্তরাজ্যের অভিবাসনব্যবস্থা সংস্কারের প্রথম বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তার লক্ষ্য অর্থনৈতিক স্থবিরতার মধ্যেও প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে উচ্চ অভিবাসন প্রবৃদ্ধি সৃষ্টি করে না, বরং এটি প্রমাণিতভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তেমন কোনো অবদান রাখে না।
স্টারমার বলেন, ‘যারা ব্রিটিশ নাগরিক হতে চান, তাদের এখন দুই গুণ সময় যুক্তরাজ্যে থাকতে হবে।’ তিনি নতুন অভিবাসন নীতির বিষয়ে বলেন, ‘যুক্তরাজ্য দক্ষতা ও প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করেনি। এটি শুধু অভিবাসন নীতির শ্বেতপত্র নয়, বরং দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত শ্বেতপত্রও।’
প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, এই পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাজ্যে নিট অভিবাসন কমানো হবে, তবে এই বিষয়ে তিনি কোনো নির্দিষ্ট সীমা আরোপ করবেন না।
প্রধানমন্ত্রী স্টারমার যুক্তরাজ্যে অভিবাসন কমানোর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের দেশকে অচেনা মানুষের দ্বীপ হয়ে ওঠা থেকে রক্ষা করতে হবে।' তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সীমান্তের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা হবে, এবং ব্রেক্সিট পরবর্তী আমাদের রাজনীতি ও অর্থনীতির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।’
এছাড়া, স্টারমার তার পূর্ববর্তী সরকারের সমালোচনা করে অভিযোগ করেন যে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত অভিবাসন কমানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও নিট অভিবাসন চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে, প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের 'অচেনা মানুষের দ্বীপ' মন্তব্যের জন্য ডানপন্থী দল এবং শরণার্থী দাতব্য সংস্থা কেয়ারফরকালেইস থেকে সমালোচনা এসেছে। সংস্থাটির সিইও স্টিভ স্মিথ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, তিনি ডানপন্থী উগ্রতাকে উসকে দিচ্ছেন এবং শরণার্থী ও মানবিক সংকটে থাকা মানুষদের জন্য পরিস্থিতি আরো বিপজ্জনক করতে পারেন। সংস্থাটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে।
এসএস/টিএ