আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সব দলের সিদ্ধান্তে হয়েছে : প্রেস সচিব

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ‘সর্বজনীন স্বীকৃত’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, এ বিষয়টি সবাই গ্রহণ করেছে। ইউনিভার্সাল একসেপ্টেড। দু-একটি দলের মতে ভিন্নতা থাকতে পারে, সেটা কোনো বিষয় নয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সব পার্টি মিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এনিয়ে আমরা সব দলের সঙ্গে কথা বলেছি।

সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী জুলাই-আগস্টে ১৪শ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যদিও আমাদের হিসাবে সেটা আরও অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ কী পরিমাণ লুট করেছে। তাদের ১৫ বছরের শাসনকালে খুন-গুম করেছে, সাড়ে তিন হাজার মানুষ গুম হয়েছে। আয়না ঘরে ধরে নিয়ে গিয়ে কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়েছে মানুষকে। এর থেকে বাচ্চারাও মুক্তি পায়নি। তারা মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এটাই তাদের নিষিদ্ধ হওয়ার বড় কারণ।

অন্তর্বর্তী সরকারের নয় মাসে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত না এলেও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) দাবিতে তড়িঘড়ি করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে প্রেস সচিব বলেন, জুলাই–আগস্টের গণ–আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকারের দমন–পীড়ন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, তারা কি পরিমাণে খুন-গুম করেছে। নিষিদ্ধের জন্য বিশ্বজুড়ে সাপোর্ট ছিল। এ সিদ্ধান্তের পরে পুরো দেশ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। এটা সব ধরনের আলোচনা, সব দলের সঙ্গে কথা বলেই করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন ১৪ দলীয় জোটের শকির জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলগুলো নিষিদ্ধের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে প্রেস সচিব বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে কিন্তু আওয়ামী লীগের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ সুস্পষ্ট রয়েছে, অন্য দলগুলোর ভূমিকা সেভাবে আসেনি। হত্যা-গুম সবকিছু শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগ সুস্পষ্টভাবে দায়ী।

শফিকুল আলম বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ যে কি পরিমাণ লুপটাপ করেছে সেটা আপনারা জানেন। একটি কোম্পানি ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের একজন কবিতা পাঠ করেন, তিনিও ফামার্স ব্যাংক থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে গেছেন। এভাবে দেশের বিশাল সম্পদ লুট হয়েছে।

আরআর/এসএন

Share this news on: