অভিনেতা মিশা সওদাগর প্রায় আট শতাধিক চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এটা ঢাকাই চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। সর্বশেষ বরবাদ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচনা কেন্দ্রে আসেন। শিল্পী সমিতির নেতাও ছিলেন তিনি।দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর এর আগে সাধারণ সম্পাদকসহ সমিতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
একটা সময় রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন মিশা। জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর সদস্য ছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে মিশা সওদাগর বলেন, “আপনারা ভালো করেই জানেন, আমি ঠিক সেভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই।
কারণ রাজনীতি করতে অনেক যোগ্যতা লাগে, যেটা আমার নেই। তবে হ্যাঁ, একসময় আমি জাসাসে ছিলাম, কিন্তু পরে সময় দিতে পারব না বলে সরে দাঁড়িয়েছি। এরপর আর কখনো রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হইনি।”
সর্বশেষ বরবাদ চলচ্চিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে মিশা বলেন, ‘বরবাদের গল্প অবশ্যই আলাদা এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি এটি।একই সঙ্গে আমার করা সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি এটি এবং টেকনিক্যাল দিক সবচেয়ে উন্নত মানের।
১৯৬৬ সালের ৪ জানুয়ারি পুরান ঢাকায় মিশা সওদাগর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ওসমান গনি ও মা বিলকিস রাশিদা। তাঁদের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে মিশার অবস্থান চতুর্থ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনিও দুই ছেলের বাবা।
১৯৮৬ সালে এফডিসি আয়োজিত নতুন মুখ কার্যক্রমে নির্বাচিত হয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু করেন মিশা সওদাগর। ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালে নায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। ‘অমরসঙ্গী’ সিনেমাতেও তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন, কিন্তু দুটির একটিতেও ব্যবসায়িক সাফল্য পাননি।
পরে বেশ কয়েকজন পরিচালক তাঁকে ভিলেন হিসেবে অভিনয়ের পরামর্শ দেন। প্রথম তমিজ উদ্দিন রিজভীর ‘আশা ভালোবাসা’ সিনেমাতে ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেন মিশা। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ভিলেন হিসেবে নিজেকে বড় পর্দায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। হুমায়ুন ফরীদিকে দেখে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী হন মিশা। এ কারণে ফরীদিকে তিনি বলেন ‘আত্মিক ওস্তাদ’।
এমআর\টিএ