একটা অ্যাশেজ পুরোপুরি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার আগে দর্শকদের বিনোদন দেয়ার চেষ্টা। ৫ দিনের খেলাকে একদিনে নামিয়ে আনার সেই চেষ্টা থেকেই জন্ম হলো ওয়ানডে ক্রিকেটের। ১৯৭১ সালের সেই ম্যাচের পর থেকে ওয়ানডে ফরম্যাটই হয়ে উঠল ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। এখনো ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক আসর সেই ওয়ানডে ফরম্যাটের বিশ্বকাপটাই।
সেই ওয়ানডে ফরম্যাটের ইতিহাসেই বড় এক ঘটনা ঘটে গেল গেল ৯ মে। তবে ভারত এবং পাকিস্তানে সামরিক উত্তেজনায় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের স্থবিরতার মাঝে শিরোনাম হয়ে ওঠেনি নারী ওয়ানডেতে ঘটে যাওয়া এই অনবদ্য পারফরম্যান্স। যার নেপথ্যে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার নারী ক্রিকেটার ক্লোয়ি টাইরন।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে ফিফটি হয়েছে ১২ হাজার ৩৫৭টি। হ্যাটট্রিক হয়েছে মোট ৬৪ টি। কিন্তু একই ম্যাচে ফিফটি এবং হ্যাটট্রিক করা হয়নি কারোরই। গত ৯ মে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তিতে নাম তুলেছিলেন ক্লোয়ি টাইরন। ভারত-শ্রীলংকা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন প্রোটিয়া নারী অলরাউন্ডার।
আগে ব্যাট করে করেছিলেন ৫৪ বলে ৭১ রান। এরপর বোলিং ইনিংসের ৪২তম ওভারে এসে দেওমি ভিহাঙ্গা, সুগান্দিকা কুমারি এবং মালকি মান্দারার উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। আর সেটাই তার নাম তুলে দেয় ওয়ানডে ক্রিকেটের অনন্য তালিকায়। যেখানে নারী বা পুরুষ মিলিয়ে আর কোনো ক্রিকেটারই নেই।
টেস্ট ফরম্যাটে অবশ্য একই ম্যাচে সেঞ্চুরি এবং হ্যাটট্রিকের নজির আছে একটি। সেটিও বাংলাদেশের দখলে। সোহাগ গাজী ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরির পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের দেখা। আর টি-টোয়েন্টিতে এমন কীর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেই। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে শতক এবং হ্যাটট্রিক করেছেন জো ডেনলি।
এমআর\টিএ