পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান সম্প্রতি এক কর্মশালায় সিঙ্গেল ইউজ (একবার ব্যবহৃত) প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে অভ্যাস পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশ পারলে আমরা কেন পারব না?” এটি আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন এবং সচেতনতার উপর নির্ভর করে। সরকার বিকল্প উপকরণের ব্যবহার প্রচারের মাধ্যমে এই পরিবর্তন আনতে চায়। তিনি আরও বলেন, “সরকার সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেনি, তবে এর ব্যবহার কমাতে এবং নিরাপদ বিকল্প প্রচারে কাজ করছে।”
কর্মশালায় তিনি উল্লেখ করেন, “প্লাস্টিক বর্জ্য সহজে নষ্ট হয় না, বরং মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়ে মাছের মাধ্যমে আমাদের খাদ্য ব্যবস্থায় প্রবেশ করে।” এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও বলেন, “বিকল্প হিসেবে অনেক কিছুই রয়েছে—পলিথিনের পরিবর্তে কাপড়ের ব্যাগ, প্লাস্টিকের বোতলের পরিবর্তে কাচের বোতল ব্যবহার করা যেতে পারে।”
সরকার ইতোমধ্যে জুট ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে। জুট শিল্পের উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে জুট ব্যাগ সরবরাহের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউট, আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও রেড অরেঞ্জ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবন ও সেরা চর্চার প্রসারে একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।
সর্বোপরি, সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। তিনি বলেন, “সবাই মিলে সচেতন হলে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।”
এসএস/টিএ