ভারতের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে পাকিস্তানের পাশে থাকায় তুরস্কের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে ভারত। সম্প্রতি জানা গেছে, ভারতে হামলা চালাতে পাকিস্তানকে ড্রোন দিয়ে সাহা্য করেছে তুরস্ক।
এই ঘটনার পরই তুরস্কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠতে শুরু করেছে দেশটিতে। রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়ে দেশটিকে বয়কটের দাবি তুলেছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকারাও।
তুরস্ককে নিষিদ্ধ করার সায় দিয়ে এবার গর্জে উঠেছে ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ।
ভারতীয় বিনোদন দুনিয়ার অন্যতম অভিভাবক সংগঠনের কড়া হুঁশিয়ারি, তুরস্কে গিয়ে শুটিং বন্ধ করুন।
এ কারণে বিপাকে পড়েছে আমির খানের নতুন ছবি ‘সিতারে জমিন পর’। তুরস্কে ‘লাল সিং চাড্ডা’র শুটিং করতে গিয়ে সেখানকার রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সখ্যতা দেখানোর জেরেই এবার বিপাকে পড়তে হয়েছে আমিরকে।
নেটপাড়ায় ‘সিতারে জমিন পর’ সিনেমাটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছে। এমন আবহেই ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ সংগঠনের তরফে শুটিং লোকেশন হিসেবে তুরস্ককে বয়কট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ মত, মাতৃভূমি আগে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যে দেশ বন্ধু ভারতের কথা ভুলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে দেশে ভারতীয় ছবির শুটিং নয়।
সংগঠনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কলাকুশলী, শিল্পী সহযোগে আরও ৩৬টি বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ ভারতীয় পরিচালক, প্রযোজকদের কাছে আর্জি জানাচ্ছে, তারা যেন কোনওভাবেই তুরস্ককে শুটের লোকেশন হিসেবে বেছে না নেন। কারণ সে দেশ এমন সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের কাছে দেশ আগে।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এবং পাকিস্তানের প্রতি তুরস্কের ধারাবাহিক বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান দেখে আমাদের মনে হয়েছে, তুরস্কে কোনওরকম বিনিয়োগ কিংবা এমন কোনও কাজ না করাই ভালো যাতে সে দেশ লাভবান হয়। সেদেশে ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
যতদিন না তুরস্কের কূটনৈতিক মতাদর্শ পরিবর্তন হচ্ছে, ততদিন নিজের দেশের সম্মানের কথা মাথায় রেখে ওদের দেশে কোনও শুটিং নয়।
এদিকে তুরস্কে ঘুরতে যাওয়ার বিরোধিতা করে পোস্ট করেছেন রুপালি গঙ্গোপাধ্যায়ও। তার আর্জি, তুরস্ককে একদম বয়কট করুন। ওখানকার টিকিট বাতিল করে দিন। টলিউড নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায়েরও একই মত।
এসএন