রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের জন্য মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মূল রাস্তায় চলাচলরত ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করা হয় এবং এর মধ্যে কয়েকটি রিকশা তাৎক্ষণিক ভেঙে দেওয়া হয়।
গণমাধ্যমে রিকশা চালকের দুরবস্থা ও আর্তনাদের খবর ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের চোখে পড়লে তিনি তৎক্ষণাৎ ওই তিন রিকশা চালকদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ (বুধবার) ডিএনসিসির প্রশাসকের কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত তিন রিকশা চালককে ৫০ হাজার টাকা করে দেড় লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
এসময় ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত রিকশা চালকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু এটা পুনরাবৃত্তি হবে না। যারা ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজে নেন। ঢাকা শহরের মূল রাস্তায় কোনো রিকশা চলতে পারবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত রিকশা চালকরা হলেন, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মো. খলিল, ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা এলাকার রাসেল মিয়া, বরিশাল বাকেরগঞ্জের মাহতাব মৃধার ছেলে সুমন মৃধা।
এসময় ডিএনসিসি প্রশাসক এই তিনজন রিকশার চালককে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যাটারিচালিত এসব অবৈধ রিকশা অপসারণের বিকল্প নেই। সরকার ইতোমধ্যে যাত্রী নিরাপত্তা কথা বিবেচনায় নিয়ে বুয়েট কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রস্তুত করতে কয়েকটি কোম্পানিকে অনুমতি প্রদান করেছে। এসব রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ব্র্যাক প্রায় একলাখ রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই মাসের মধ্যেই এর কার্যক্রম শুরু হবে।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা সহ ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
এমআর/এসএন