বৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিতে সক্রিয় প্রতারক চক্র, সতর্কতা জারি মাউশির

সরকারি বৃত্তির অর্থ সরাসরি শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে পৌঁছানোর ব্যবস্থায় সুবিধা যেমন বেড়েছে, তেমনি সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। যারা নানা কৌশলে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পাসওয়ার্ড, এমনকি ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) হাতিয়ে নিয়ে বৃত্তির টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে। এমন ভয়াবহ প্রতারণা ঠেকাতে এবার কঠোর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আজাদ খানের সই করা এক নির্দেশনায় দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সরকার রাজস্ব খাতভুক্ত যেসব বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান করে, সেগুলোর টাকা এখন ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো হয়। তবে সেই অ্যাকাউন্ট বা ইউজার আইডি-পাসওয়ার্ড, এমনকি ব্যাংক কার্ডের পিন চেয়ে প্রতারক চক্র শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করছে।

অন্যদিকে, মাউশির তদন্তে উঠে এসেছে, চক্রটি কখনো মাউশির কর্মকর্তা, কখনো শিক্ষা বোর্ড বা ব্যাংকের পরিচয়ে ফোন বা এসএমএস পাঠায়। এরপর অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ডেবিট কার্ডের পিন, পাসওয়ার্ড, এমনকি ওটিপিও চাওয়া হচ্ছে।

সেজন্য মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই ধরনের অনুরোধ এলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হতে হবে। কোনো অবস্থাতেই এসব তথ্য জানানো যাবে না। পাশাপাশি কোনো আর্থিক লেনদেনেও যেন জড়ানো না হয়, সেজন্য শিক্ষার্থীদেরও সাইবার সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে মাউশি।

একইসাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে বৃত্তি সংক্রান্ত সব তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের তাদের নিজস্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড সুরক্ষায় রাখার নির্দেশনাও দিয়েছে মাউশি।

এফপি/এস এন

Share this news on: