গাজায় অনেক মানুষ অনাহারে আছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে দাঁড়াবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৩ মে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়েছিলেন তিনি। সফরের শেষ দিন ছিল ১৫ মে। এদিন মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, “এবং গাজা। গাজার সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সেখানে প্রচুর মানুষ না খেয়ে আছে, অনেক বাজে ব্যাপার ঘটছে। আমরা গাজার বাসিন্দাদের যত্ন নেব।”
প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকায় গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫২ হাজার ৯০০ এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৬ জন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত ২ মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি।
এদিকে দ্বিতীয় দফা অভিযান শুরুর আগে ১ মার্চ থেকেই গাজায় খাদ্য ও ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে আইডিএফ। ফলে বর্তমানে খাবার, সুপেয় পানি ও ওষুধের অভাবে ভয়াবহ বিপর্যয়কর পরিস্থিতি চলছে গাজায়।
সূত্র : এএফপি
আরআর/টিএ