গোটা ম্যাচে একচেটিয়া আধিপত্য দেখাল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু কাঙ্খিত জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারল না তারা। ব্যর্থতায় ভরা এবারের মৌসুমে আরও একবার পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের সঙ্গী হলো তীব্র হতাশা।সিটিজেনদের চমক দেখিয়ে এফএ কাপে ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন হলো ক্রিস্টাল প্যালেস।
শনিবার (১৭ মে) রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে দক্ষিণ লন্ডনের ক্লাবটি। ১৬তম মিনিটে দানিয়েল মুনোজের ক্রসে দারুণ ভলিতে ব্যবধান গড়ে দেন ইংলিশ মিডফিল্ডার এবেরেচি এজে। ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১২০ বছরের ইতিহাসে এটিই তাদের প্রথম কোনো বড় শিরোপা।
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটিতে এর আগে দুইবার ফাইনালে উঠেছিল ক্রিস্টাল প্যালেস। দুবারই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে স্বপ্ন ভেঙেছিল তাদের। এবার ম্যানচেস্টারেরই আরেক দলকে হারিয়ে ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথম মেজর কোনো শিরোপা জিতল এই ক্রিস্টাল প্যালেস।
প্রায় ৮৫ হাজার দর্শকের সামনে তারকায় ঠাসা শক্তিশালী সিটি ৭৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলমুখে ২৩টি শট নেয়। যার ছয়টি লক্ষ্যে থাকলেও গোলের দেখাও মেলেনি। অন্যদিকে, পুরো ম্যাচে মাত্র ১২৬টি পাস খেলা প্যালেস গোলমুখে শট নেয় সাতটি। যার মধ্যে লক্ষ্যে থাকা দুটি থেকে একটি গোল আদায় করে উল্লাসে মাতে তারা।
তাদের নতুন ইতিহাস গড়ার নায়ক অবশ্যই এজে। তবে ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত সব সেভ করে ‘ফেভারিটদের’ আটকে রাখা ডিন হেন্ডারসনের অবদানও কোনোঅংশে কম নয়। সিটির আক্রমণগুলো পূর্ণতা পায়নি তার কারণে। সব মিলিয়ে ছয়টি সেভ করেন তিনি। প্রথমার্ধের ৩৬তম মিনিটে হেন্ডারসন ঝাঁপিয়ে আটকে দেন ওমার মারমুশের স্পট-কিক। ডি-বক্সে বার্নার্দো সিলভা ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনাল্টি পেয়েছিল সিটিজেনরা। শুরুতে আর্লিং হালান্ডকে স্পট-কিকের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেলেও শেষমেশ মারমুশকে বল তুলে দেন তিনি। তবে মিশরীয় ফরোয়ার্ড নষ্ট করেন সুবর্ণ সুযোগ।
বিরতির পর ৫৭তম মিনিটে নিশানা ভেদ করেন মুনোজ। কিন্তু প্যালেসের ব্যবধান দ্বিগুণ করার আনন্দ টেকেনি বেশিক্ষণ। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি অফসাইডের সিদ্ধান্ত দিলে ম্যান সিটি ছাড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিটে যোগ করা হলেও গোল অধরাই থেকে যায় তাদের। আর তাতে আক্ষেপ ঘুচল ক্রিস্টালের।
আরআর