ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশ-ভারত লড়াই মানেই বাড়তি উত্তেজনা। সেটা যে কোনো খেলায় হোক কিংবা সিনিয়র-জুনিয়র পর্যায়ে লড়াইই হোক। আজ (রোববার) সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সেই উন্মাদনার রেশ থাকছে তুঙ্গে। অরুণাচলের ইউপিয়ায় গোল্ডেন জুবলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মুখোমুখি এই ফাইনাল।
গত বছর নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার ঊনিশের ক্যাটাগরিতেও শিরোপা জয় করে দেশে ফিরতে চান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলেন, “ছেলেরা এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি ম্যাচেই ভালো ফুটবল খেলেছে। তারা এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী। ফাইনালের জন্য পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত। দেশবাসীর দোয়া চাই যেন আমরা চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে ফিরতে পারি।”
তিন ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ একটি ড্র করলেও ভারত সব ম্যাচই জিতেছে। যদিও ভারতের জালে বল গড়ায়নি একবারও, বাংলাদেশের জালে তিনবার গোল হয়েছে। পারফরম্যান্স এবং স্বাগতিক সুবিধার কারণে ভারত খানিকটা এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশকে সমীহ করছেন ভারত কোচ বিবিয়ানো ফের্নান্দেস। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ভালো খেলেছে, বিশেষ করে সেমিফাইনালে। তাদের প্রতি আমাদের সম্মান আছে এবং আমরা ফাইনালে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করব।”
বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নিজে তিন গোল করেছেন এবং করিয়েছেন একাধিক গোলে সহায়তা। ফাইনাল নিয়ে অধিনায়কের প্রতিক্রিয়া, “ফাইনালে সবসময় উত্তেজনা থাকে। দু’দলই ভালো খেলে জয়ের মাধ্যমে ট্রফি নিতে চাইবে। আমরাও ইনশাআল্লাহ ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরব।” তার বিশ্লেষণ, “শুরু থেকেই আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল। যেহেতু ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত, সেক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। তারা ভালো দল, তাদের প্রতি সম্মান আছে আমাদের। লক্ষ্য পূরণে আমরা শতভাগ দিয়ে খেলব।”
ভারত অধিনায়ক সিঙ্গামায়ুম শামি বলেন, “আমরা সেরাটা দিতে চাই। লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত এবং আমাদের দেশে ট্রফি রাখতে চাই।”
এসএস/এসএন