নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মাদকবিরোধী বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদিসহ গ্রেফতার ৬ কারবারিকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (১৮ মে) বিকেলে একলাশপুর ইউনিয়নে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদাত হোসেন ২ এসএম জাহিদা আক্তার মৌসুমি এ অভিযান পরিচালনা করেন।
আসামিরা হলেন- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাতালবাড়ী এলাকার মো. সাহাবুদ্দিন (৩৫), নুর নবী (২৫), কামাল হোসেন (৩৫), আলাউদ্দিন (৫০), আব্দুল মান্নান (৪৫) ও আব্দুল করিম (৫১)।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস) মো. বশির আহমেদের (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) নির্দেশনা মোতাবেক এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লার সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর সদস্যরা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের কাতালবাড়ীতে একটি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ১ কেজি ৩২০ গ্রাম গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদিসহ ০৬ জনকে আটক করা হয়। পরে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলেই আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে একলাশপুর এলাকায় গাঁজা, ইয়াবা বিক্রি ও সেবন করে আসছিলেন। নিজ হেফাজতে গাঁজা সংরক্ষণ ও ইয়াবা সেবনের অপরাধে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদাত হোসেন ও এসএম জাহিদা আক্তার মৌসুমি আসামি মো. সাহাবুদ্দিনকে ৩০ দিনের কারাদণ্ড ও ২০০০ টাকা অর্থদণ্ড, আসামি নুর নবীকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ২০০০ টাকা অর্থদণ্ড, কামাল হোসেনকে ৩০ দিনের কারাদণ্ড ও ২০০০ টাকা অর্থদণ্ড, আলাউদ্দিনকে ৩ দিনের কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা অর্থদণ্ড, আব্দুল মান্নানকে ৩ দিনের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা অর্থদণ্ড ও আব্দুল করিমকে ৩ দিনের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বিক্রি ও সেবনে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। এমন তাৎক্ষণিক ও কঠোর পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা মনে করছেন, এ ধরনের অভিযান নিয়মিত হলে মাদকসেবীদের আস্তানা ভেঙে পড়বে এবং যুব সমাজ রক্ষা পাবে ভয়াবহ মাদকের থাবা থেকে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবেই এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
এসএম