রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিলেন বারাসতের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিতের। রবিবার এক জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে তাঁর মন্তব্য, ”আমার অনেক বয়স হয়েছে। তাই মনে হয় সময় এসেছে হস্তান্তরের। এখন আমি নিজের মতো বাঁচতে চাই।” ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের বছর খানেক আগে তাঁর মুখে এহেন মন্তব্য শুনে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, প্রার্থী না হওয়ার জল্পনা উসকে দিলেন বারাসতের তিনবারের বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। কিন্তু কারণ কী? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
রবিবার বিকেলে বারাসত পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপুরে হাই-মাস্ট লাইট, সেলফি জোন, কাউন্সিলরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ-সহ নানা বিষয়ে অভিযোগ জানাতে ‘হ্যালো কাউন্সিলর’ অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “১৫ বছর এখানে (বারাসতে) আছি। মানুষের সঙ্গে মিশলাম, ভালো-মন্দে রইলাম। প্রথমবার সুপারস্টার চিরঞ্জিত জিতেছিল। কিন্তু দ্বিতীয়, তৃতীয়বার তো সেটা হবে না। মানুষ আমাকে যাচাই করেছে। আমি বুঝেছি বারাসতের মানুষ আমাকে পছন্দ করে, সম্মান করে। সে কারণেই আমাকে রাখা হয়েছে। কিন্তু অনেক বয়স হয়েছে আমার। এখন আমি নিজের মতো বাঁচতে চাই। আমার মনে হয় এবার সময় এসেছে হস্তান্তরের।” বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক।
চিরঞ্জিত নিজের মতো করে বাঁচার কথা বলে রাজনীতি থেকে সরে আসতে চাইলেও শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তাও জানিয়েছেন জল্পনা উসকে তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি অনুরোধও করেছি। উনি বলেছেন এখনও এক বছর বাকি আছে। মুখ্যমন্ত্রীর কী সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা একমাত্র উনিই জানেন। এবার উনি যদি আমাকে বলেন থাকতেই হবে, ছাড়বেন না, আমার থাকার প্রয়োজন আছে, তাহলে আমি ভাবব।” সঙ্গে চিরঞ্জিতের সংযোজন, “যারা রাজনীতিতে আগ্রহী, যারা রাজনীতি করতে চান, যাঁদের এটা কাজ, তাঁদেরই করা উচিত। প্রথম থেকে এই কথাটা বলে আসছি। আমি রাজনীতিতে আগ্রহী নই। আমার কাজ সিনেমা করা।”
এসএন