পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন বিশ্বের লাখ লাখ মুসলিম। হজযাত্রীদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সরকার। এরই অংশ হিসেবে হজযাত্রীদের নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও বিশ্রাম না নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।রবিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ আহ্বান জানিয়েছে।
হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্ধারিত স্থানগুলোর প্রতি সম্মান দেখালে হজের ব্যস্ততম সময়ে ঝুঁকি কমবে এবং সহজে চলাচলের ধারাবাহিকতা বজায় থাকতে সহায়তা করবে। এ জন্য হজযাত্রীদের তাঁবু ও আবাসন হোটেলের মতো বিশ্রামের নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও বিশ্রাম না নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রাঙ্গণে এবং লোকজনের চলাচলের পথের মতো ভিড়পূর্ণ জায়গায় শুয়ে পড়লে বিপজ্জনক জট তৈরি হয়। এতে হজযাত্রীদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এবং সংকটময় পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবা দলগুলোর তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা ব্যাহত হয় বলে উল্লেখ করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।
কারণ, বিভিন্ন প্রাঙ্গণে ও লোকজনের চলাচলের পথের মতো ভিড় এলাকায় শুয়ে পড়লে বিপজ্জনক জট তৈরি হয়। এতে হজযাত্রীদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এবং সংকটময় পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবা দলগুলোর তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেওয়া সক্ষমতা ব্যাহত হয় বলেও উল্লেখ করেছেন সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পৃথক নির্দেশনায় হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের সঙ্গে দিনের বেলা ছাতা রাখার অনুরোধ জানিয়েছে। কারণ তা তীব্র গরমের মধ্যে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সহায়তা করবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু হবে। ইতিমধ্যে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৭৯ হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছে।
এদিকে চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী সৌদি যাবেন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার ৩১৭ জন হজযাত্রী দেশটিতে পৌঁছেছেন। আগামী ৩১ মে হজের ফ্লাইট শেষ হতে যাচ্ছে।হজ শেষে ১০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে যা শেষ হবে ১০ জুলাই।
এমআর/টিএ