বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। স্টারলিংক ৭ হাজার টাকায় সেবা দিতে চাইলেও সরকার দরকষাকষি করে খরচ কমিয়ে এনেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
মঙ্গলবার (২০ মে) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের যাত্রা দেশের প্রযুক্তিখাতে এক ঐতিহাসিক যুগের সূচনা। স্টারলিংকে ৩০০ এমবিপিএস গতির সেবা মিলবে। তাই গ্রাহকরা এই গতির ইন্টারনেট শেয়ার করে ব্যবহার করতে পারবেন। ৪৭ হাজার টাকা দামে স্টারলিংক কিট শেয়ারে নিলে খরচ খুব বেশি মনে হবে না গ্রাহকদের।
স্টারলিংক স্থানীয় গেটওয়ে ব্যবহার করবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে দ্রুতগতির এই ইন্টারনেট সেবায় জাতীয় সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হবে না। শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়ার চেয়েও বাংলাদেশে কমদামে সেবা দিচ্ছে স্টারলিংক।
স্টারলিংক ছাড়া অ্যামাজনসহ চার প্রতিষ্ঠান স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা দিতে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, স্টারলিংক ৭ হাজার টাকায় সেবা দিতে চেয়েছিল। তবে সরকার দরকষাকষি করে ৪ হাজার ২০০ টাকা এবং ৬ হাজার টাকায় খরচ নামিয়ে এনেছে।
ফয়েজ আহমদ বলেন, স্টারলিংককে সেবা প্রদানের সুযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার অস্বাভাবিক রকমের তাড়াহুড়ো করেনি। নিয়মকানুন অনুসরণ করেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
স্টারলিংককে প্রতিটি ডিভাইস প্রতিস্থাপনে সরকারকে এক ডলার করে রাজস্ব দেবে।
আরএম/এসএন