প্রেমিকা জিয়া খানের অকালমৃত্যু তোলপাড় করে দিয়েছে অভিনেতা সুরজ পঞ্চোলির জীবন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ যে সম্পূর্ণ রটনা সে কথা বার বার বলেছেন সুরজ এবং তাঁর পরিবারও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সুরজের মা জ়ারিনা ওয়াহব। বিস্তারিত জানান ২০১৩ সালের ৩ জুন ওই ঘটনার আগে কী ঘটেছিল?
তাঁর দাবি, সুরজ এবং জিয়া দু’জনের কেউই সুখী ছিলেন না এই সম্পর্কে। সেই বছরই প্রথম বড় পর্দায় অভিষেক হওয়ার কথা সুরজের। এক দিকে পেশাগত জীবন, অন্য দিকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ ডামাডোলের মধ্যেই দিন কাটছিল তাঁর। এমনকি দুই পরিবারও একেবারেই খুশি ছিল না এই সম্পর্কে। তার পরেই জিয়ার সঙ্গে প্রেম ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেতা। সুরজের মা বলেন, “জিয়ার মৃত্যুর এক মাস আগে ওদের প্রেম ভাঙে।”
ছেলের সম্পর্কের একেবারে প্রথম পর্বেই যে তিনি সতর্ক করেছিলেন, সে কথাও স্পষ্ট জানান জ়ারিনা। তাঁর কথায়, “সলমন যখন সুরজকে ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন, তখন জিয়া আর সুরজ ভাল বন্ধু ছিল। পরবর্তী সময়ে সেই সম্পর্ক প্রেমের দিকে গড়ায়। তখনই আমি বলেছিলাম, এই প্রেম সম্পর্কটা আর এগিয়ে নিয়ে না যাওয়াই ভাল। এখন সুরজের অভিনয়ে মন দেওয়া উচিত।”
মায়ের কথামতো জিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন সুরজ। অভিনেত্রীর মা-ও এই সম্পর্ক নিয়ে একেবারে খুশি ছিলেন না বলে দাবি করেছেন জ়ারিন। তিনি বলেন, “জিয়ার মৃত্যুর এক মাস আগে এই ঘটনা ঘটেছিল।” জিয়ার নাম খুব অল্প বয়সেই ছড়িয়ে পড়ে বলিউডে। যদিও জ়ারিনার দাবি, কাজের ক্ষেত্রে তেমন সাফল্য জিয়া পাননি। সুরজের মায়ের কথায়, একের পর এক কাজ বাতিল হয়ে যাচ্ছিল তাঁর, যা প্রভাব ফেলেছিল অভিনেত্রীর মানসিক স্বাস্থ্যে।
যে দিন এই ঘটনা ঘটে সে দিন তাই বার বার সুরজের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু সুরজ নিজের অভিনয় প্রশিক্ষণে ব্যস্ত থাকায় তাঁর ফোনের উত্তর দিতে পারেননি। অভিনেত্রী জ়ারিনার দাবি, তাঁর ছেলে এ ক্ষেত্রে কোনও দোষ করেননি। তাঁকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া এ বার বন্ধ হোক।
এমএর/টিএ