নৌবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে খুলনায় ৮ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও নৌবাহিনীর যৌথবাহিনী।
সোমবার রাত ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার হোটেল সুইফটে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ৩৮ জন চাকরি প্রত্যাশীকেও উদ্ধার করা হয়। পরে ভোরে তাদের সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং পরবর্তীতে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন—কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার রিসাতপুর এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান, একই উপজেলার মহিষকুন্ডু গ্রামের বাসিন্দা শাকিল আহমেদ, চক গ্রামের বাসিন্দা আরজ আলীর ছেলে মো. আলহাজ আলী, চুয়া মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা নয়ন আলী, ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ি উপজেলার ঘোষবাড়ির বাসিন্দা রেজাউল মন্ডলের ছেলে ফরহাদ মন্ডল, মেহেরপুর জেলার গংনী উপজেলার হাড়ভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলামের ছেলে মোস্তাকিম, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার রেজাউল করিমের ছেলে রিয়াজ মোল্লা, রাজশাহীর বাগমার উপজেলার কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা তৈয়ব আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম, এবং কুষ্টিয়া উপজেলার পদমাদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল বারীর ছেলে শামীম ইসলাম।
সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই) আব্দুল হাই বলেন, “মঙ্গলবার বাংলাদেশ নৌবাহিনী তিতুমীর খুলনার খালিশপুরে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদনকারী বাছাই করা হবে। এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একটি প্রতারক চক্র খুলনাসহ অন্যান্য বিভাগ এবং জেলা থেকে চাকুরী প্রত্যাশীদের প্রলোভন দেখাতে থাকে। এই প্রতারকরা তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়ে থাকে। সোমবার রাতে তাদের কাছ থেকে তারা মোটা অঙ্কের টাকা দাবিও করেছিল। তার পদক্ষেপ হিসেবে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্রতারকরা মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়।”
আবদুল হাই আরও বলেন, “নৌবাহিনী খুলনার তিতুমীরে পরীক্ষা আছে বলে ৩ দিন আগে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার আবাসিক হোটেল সুইফটের ৩টি কক্ষ ভাড়া করে। আমরা অনেক আগে বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলাম, কিন্তু আমাদের আগে নৌবাহিনী ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৮ জন প্রতারককে গ্রেফতার এবং ৩৮ জন চাকুরী প্রত্যাশিকে উদ্ধার করে। এ সময়ে প্রতারকদের কাছ থেকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ৫ টি মোবাইল ফোন ১০০ টাকা মূল্যের ৩৬ সেট স্ট্যাম্প এবং কয়েকটি ব্ল্যাঙ্ক চেক উদ্ধার করা হয়। নৌবাহিনীতে চাকরি দিয়ে ৯-১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার টার্গেট ছিল তাদের।”
“ভোররাতে নৌবাহিনীর সদস্যরা ৮ জন প্রতারককে থানায় হস্তান্তর করেন এবং তাদের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করেন েবানৌজা পিও(আর) মো. আরিফুল ইসলাম।”
আরএ