‘চোখের সামনে সব আশা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে’

অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, নাটক, মডেলিং ও সিনেমায় একের পর এক চমক দিয়ে দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। কান চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। 

জুলাই আন্দোলনে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজপথেও সরব ছিলেন এই অভিনেত্রী। পট পরিবর্তনের পর অন্যদের মতো তিনিও ভেবেছিলেন ভালো কিছু হবে। নতুন বাংলাদেশ দেখতে স্বপ্ন বুনেছিলেন। কিন্তু চোখের সামনে অভিনেত্রীর স্বব আশা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেছেন বাঁধন।

তিনি বলেন, আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম একটি ভালো দেশের; ন্যায়বিচার, সততা ও আশার ওপর গড়ে ওঠা জাতির। কিন্তু সে স্বপ্ন এখন চূর্ণবিচূর্ণ। একই দুর্নীতিগ্রস্ত, পচে যাওয়া ব্যবস্থা এখনো রয়ে গেছে, যা প্রকৃত পরিবর্তনের সব আশা দমন করে ফেলছে।



আমি শুধু হৃদয়ভাঙা নই, আমি ক্ষুব্ধ, লজ্জিত। আমার জন্য এটা খুবই সমস্যার আসলে। আমার মানসিক অসুস্থতাও আছে। এটা নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি। আমার তীব্র বিষণ্নতা আছে। আমি আসলেই বিষণ্ন। শেষ কয়েক মাসে আমার ওজনও বেড়েছে। হতাশা থেকেই এমনটা হয়েছে। আসলে অনেক আশা ছিল। সব আশা চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।

দুর্নীতিকে দায়ী করে বাঁধন বলেন, একমাত্র কারণ দুর্নীতি। আমরা আগাগোড়া দুর্নীতিগ্রস্ত জাতি। আমাদের এই দুর্নীতি এখনো যায়নি। স্বৈরাচার চলে গেছে ঠিক, সিস্টেম তো রয়ে গেছে। আমি উপদেষ্টা পরিষদের কথা বলতে চাই, তারা প্রত্যেকে ভালো মানুষ। কিন্তু তাদের চেষ্টা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। কিন্তু তারা এতটা সময় থাকার পরও যেহেতু সিস্টেম ঠিক করতে পারল না, এটার দায় তাদের নিতেই হবে। এই দায়ভার এড়ানোর কোনো সুযোগ বর্তমান সরকারের নেই।

এদিকে ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় আছে বাঁধন অভিনীত সিনেমা ‘এশা মার্ডার’। এটি পরিচালনা করেছেন সানি সানোয়ার। বাঁধন ছাড়াও অভিনয় করেছেন পূজা এগনেজ ক্রুজ, মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ প্রমুখ।

এসএম/টিএ  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘ঢাকার রাজপথের যোদ্ধারা রেডি থাইকেন, আমরা আসতেছি রাজপথে জুলাইকে বাঁচাতে’ May 23, 2025
img
লন্ডনে সালমানপুত্র সায়ানের সম্পত্তি জব্দ করছে ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি May 23, 2025
img
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান, এনবিআরে আন্দোলন চলবে: ঐক্য পরিষদ May 23, 2025
img
‘৩৬ জুলাই' বৃহৎ শক্তি ও স্পিরিটের নাম: শিবির সভাপতি May 23, 2025
img
বিতর্কিত নির্বাচন হলে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, দায় নিতে চান না ড. ইউনূস May 23, 2025
img
পদত্যাগ করার পরেই জনগণ ক্ষমার চিন্তা করবে: রাশেদ খাঁন May 23, 2025
img
খাস জমিতে স্থাপনা: শ্রমিক দলের নেতাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড May 23, 2025
img
মেঘনার বালুমহাল ইজারা–কাণ্ডে বরিশালে বিএনপির ১২ নেতার পদ স্থগিত May 23, 2025
img
নাপিতের কাজও করেছেন কমল হাসান May 23, 2025
img
রাজউকের সার্ভার হ্যাক করে ভবনের ‘অনুমোদন’ May 23, 2025
img
দ্বিতীয় দিনে লাল গালিচায় কালো পোশাকে ঝলমলে ঐশ্বরিয়া May 23, 2025
img
ভারতে জাহাজ নির্মাণের জন্য ২১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি বাতিল করল বাংলাদেশ May 23, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জুলাই ঐক্যের May 23, 2025
img
অভিনেত্রী শাওন পালাবার পথ খুঁজে পাবে না: ইলিয়াস May 23, 2025
img
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক May 23, 2025
img
আমাদের না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু: আসিফ মাহমুদ May 23, 2025
img
এখনও প্রতিহিংসার শিকার বিএনপি: দুদু May 22, 2025
মেয়র নির্বাচন করবেন হাসনাত-সাদিক কায়েম? May 22, 2025
জাতীয় স্বার্থে স্প'র্শকাতর ই'স্যু এড়িয়ে চলার আহ্বান জামায়াত আমিরের May 22, 2025
২০ দিনেই চাক'রিচ্যুত সরকারি কর্মচারী! May 22, 2025