বাংলাদেশ, চীন ও আফগানিস্তানকে নিয়ে জোট গড়তে চায় পাকিস্তান। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বৃহস্পতিবার (২২ মে) এ কথা বলেন। তিনি বলেন এ তিনটি দেশকে নিয়ে জোট গঠনে পাকিস্তানের অবশ্যই এগিয়ে যাওয়া উচিত।
এ দিন ‘অল পাকিস্তান চেম্বার্স প্রেসিডেন্টস’ সম্মেলনে উপস্থিত হন ইসহাক দার। সেখানে এশিয়ার এ তিন দেশের সঙ্গে জোট গঠনের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়েও কথা বলেন তিনি। যেখানে দুই দেশের বিমানবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন এই পাক মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “ভারতের বিরুদ্ধে আকাশে ন্যায়বিচারের লড়াই প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। এর আগে এ ধরনের লড়াইয়ের ব্যপ্তি ছিল ৩০ মিনিট। যা নতুন রেকর্ড।”
ইসহাক বলেন, “অনেক বছর ধরে, দাবি করা হচ্ছিল পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ কোনো দেশ নয়। এবং সবাইকে ধারণা দেওয়া হচ্ছিল ভারত শক্তিশালী দেশ। বিশ্ববাসী তা দেখছিলও। কিন্তু নতুন ধরনের কিছু হয়নি। এখন বিশ্ব পাকিস্তানকে (শক্তিশালী দেশ হিসেবে) দেখছে।”
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “পাকিস্তান সবসময় শান্তির কথা বলে। পেহেলগামে যে হামলা হয়েছে প্রমাণ ছাড়া সেটির দায় পাকিস্তানকে দিয়েছে ভারত। এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একতরফা ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে তারা। পেহেলগাম হামলার পর ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে তাদের কর্তৃত্ব দেখানোর জন্য। জবাবে পাকিস্তান নিজস্ব আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। যা পুরো বিশ্বের নজরে আসে।”
পাক মন্ত্রী বলেন, তারা কোনো ধরনের সংঘাত শুরু করতে চান না। কিন্তু এবার ভারতের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের দেশের শিখদের ভূখণ্ডে মিসাইল ছোড়ে। তারা এর দায় পাকিস্তানের ওপর দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারত যখন পাকিস্তানের শহরগুলো লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়া শুরু করে পাকিস্তানের ধৈয্য ভেঙে যায়।
তিনি আরও বলেন, “অনেক দেশ পাকিস্তানকে সংযত থাকতে বলে। কিন্তু যখন আমাদের নুর খান বিমানঘাঁটিতে যখন হামলা চালানো হয় তখন জবাব দেওয়া ছাড়া পাকিস্তানের আর কোনো উপায় ছিল না।”
এরপর ১১ মে সকালে তাকে খবর দেওয়া হয় ভারত যুদ্ধবিরতি চায়।— এমনটা বলেন ইসহাক দার।
এছাড়া সম্প্রতি আফগানিস্তান ও চীনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও জানান তিনি।
এমআর/টিএ