চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। ২১ মে বেইজিংয়ে আয়োজিত এক “অনানুষ্ঠানিক” বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, পাকিস্তানের ইসহাক দার এবং তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি অংশ নেন। সভায় চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC) আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা ভারতের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
ভারত CPEC-এর বিরোধিতা করে আসছে, কারণ এটি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-এর ভেতর দিয়ে যায়, যা ভারতের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে বলে নয়াদিল্লির অভিযোগ।
বৈঠকে তিন দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর আওতায় CPEC আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারণে একমত হয়।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বিগত সময়ে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে খারাপ হয়েছে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করে, TTP আফগান ভূমি ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা চালায়, যদিও কাবুল তা অস্বীকার করেছে।
এদিকে ভারতের দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে, কারণ CPEC সম্প্রসারিত হলে তা ভারতের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক স্বার্থে আঘাত করতে পারে। বিশেষ করে, পাকিস্তান আফগান ভূমি ব্যবহার করে ভারতবিরোধী কার্যকলাপে মদদ দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় আগেই বলেছে, CPEC প্রকল্পে তৃতীয় দেশকে যুক্ত করার চেষ্টাও ভারতের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। এখন চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের এই ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ নয়াদিল্লিকে নতুন করে কৌশল পুনর্বিবেচনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আরএ/টিএ