‘বারবার দেশকে অনৈক্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। ৫ আগস্টের পর থেকেই তারা এ কাজটি করে আসছে। মূলত আওয়ামী লীগ তাদের দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি সব সময় ঐক্যের কথা বলেছে। বিএনপি সব সময় নির্বাচনের কথা বলেছে। কিন্তু নির্বাচনই মূল কথা নয়, আমাদের কাছে দেশের সার্থ্য আগে।’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (২৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র, গণহত্যার বিচার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে একটি অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। সংকট উত্তরণে ফ্যাসীবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য জরুরি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী, হাসনাত আবদুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
নাহিদ বলেন, দেশের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দায়বদ্ধতা রয়েছে। গণহত্যার বিচার ও মৌলিক সংস্কার করতে হবে। আমরা মনে করি, শুধু ভোটের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়নি।
তিনি বলেন, সেনবাহিনী সম্প্রতি ৬২৬ জনের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। তা হলে এতো কথা হতো না। সেনাবাহিনী হচ্ছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্যের প্রতীক। যার যে দায়িত্ব তা পালন করেন।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, বিগত সরকারের সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তা অন্যায়ের সাথে জড়িত ছিলেন। তাদেরসহ গুম-খুনে জড়িতদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী আমলের সব নির্বাচন অবৈধ। তাই সেসব নির্বাচনের প্রতিনিধি হতে যারা আন্দোলন করেন, তাদের বিষয়টি জনগণ ইতিবাচক হিসেবে নেয়নি। আমরা মনে করি, তৃণমূল মানুষের সেবা নিশ্চিতে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া দরকার।
নাহিদ বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আস্থার জায়গায় ফিরতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। তারা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য আহত ও শহীদ পরিবারের সার্থ্য আদায়ে তখন সরকারে যোগ দেন। এখন তাদের এনপিপির প্রতিনিধি বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য তারা রাজনীতি করতে চাইলে আগে পদত্যাগ করতে হবে। যেমনটি আমি করেছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ড. ইউনূস বলেছিলেন, মৌলিক সংস্কার ও বিচার করে নির্বাচন দেবেন। কিন্তু যমুনাসহ বিভিন্ন আন্দোলন নিয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ থেকে প্রধান উপদেষ্টার পদে না থাকার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে এবং একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হলে এর দায়ভার নিতে চান না তিনি।
তিনি বলেন, ১/১১ এর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা না বলার আহ্বান জানান।
এসএম/টিএ