গ্রীষ্মকালে বাজারে পাওয়া যায় একটি বিশেষ ফল, আতা। অনেকেই একে কাস্টার্ড অ্যাপল নামেও চেনেন। সুস্বাদু এই ফল কেবল খেতেই ভালো নয়, এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অসাধারণ। বিশেষ করে নারীদের নানা শারীরিক সমস্যা দূর করতে আতাফল অত্যন্ত কার্যকর।চলুন, জেনে নিই এর উপকারিতা।
শরীরে শক্তি জোগায়
আতাফল শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ও ভিটামিন শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়। বিশেষ করে গ্রীষ্মের ক্লান্তিকর দিনে এটি দুর্বলতা কাটিয়ে তোলে।
গর্ভবতী ও মাসিক সমস্যায় উপকারী
আতা গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মায়ের শরীর ও গর্ভস্থ সন্তানের পুষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, মাসিক চলাকালীন অতিরিক্ত রক্তস্রাব নিয়ন্ত্রণেও আতাফল কার্যকর।
গাঁটে ব্যথা ও ভারসাম্যহীনতা কমায়
আতাফলের নিয়মিত সেবনে গাঁটে ব্যথা, দুর্বলতা ও ভারসাম্যহীনতার মতো সমস্যা কমে।এটি শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে হাড় মজবুত করে তোলে।
হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপে উপশম
আতাফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি-৬। যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য আতাফল একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হতে পারে।
রক্তাল্পতা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে আতাফল বিশেষভাবে উপকারী।এতে আয়রন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রয়েছে যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এ ছাড়া এটি রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ত্বক ও পেটের যত্নে
আতাফল ও এর পাতার রসে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা পেটের সমস্যা দূর করে এবং ত্বককে ব্রণ, দাগ ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। আতাফলের নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর।আতাফলের বীজের ব্যবহার
আতাফলের বীজ গুঁড়ো করে মাথায় লাগালে উকুন দূর হয়। এটি একটি প্রাচীন ঘরোয়া টোটকা যা এখনও অনেক জায়গায় কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়।
এফপি/এসএন