প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার ও নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াত

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতকালে দুটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াত।

আজ শনিবার (২৪ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেশে অস্বাভাবিক অবস্থা অবস্থা বিরাজ করছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর জাতির উদ্দেশে একটি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস। কিন্তু তিনি সেই বার্তা না দিলেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

জামায়াত আমির বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা তার অধিকার পাওয়ার জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। একই সময় আরেকটা দল গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি জায়গায় তাদের দাবি নিয়ে অবস্থান করছিল। এসব বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বিরক্ত ছিলেন এবং তিনি তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছিলেন।

তিনি বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে পরিবর্তন এসেছে। আমাদের প্রত্যাশা গণঅভ্যুত্থানের সরকার কোনো দলকে সাপোর্ট করবে না, এটা হওয়া উচিত। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে বিচ্যুতি ঘটেছে।
অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সংস্কার ও বিচারের মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনে সমতল মাঠ থাকবে। প্রার্থীদের ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হবে না। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশী শক্তির প্রভাব থাকবে না।

এমনটি হলে মানুষ তার হারানো অধিকার ফিরে পাবে এবং অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবে। এটাই জনগণের দাবি।

জামায়াত আমির বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। কিন্তু তিনি সুনির্দিষ্ট করে মাস ও তারিখ বলেননি। এ কারণে কিছু দলের দাবি আছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রেখে একটি প্রস্তাবনাও দিয়েছি। আমরা আজও এ বিষয়ে কথা বলেছি।

তিনি বলেন, অবশ্যই সংস্কার ও বিচারের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হতে হবে। আবার সব সংস্কার এ সরকার করতেও পারবে না। তবে মৌলিক ৫ টি বিষয়ে সংস্কার হতে হবে। এর পাশাপাশি জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে। এজন্য আমরা দুটি রোডম্যাপ চেয়েছি।

এক. সংস্কার; দুই. নির্বাচন। 

এসএম/টিএ  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নদীতে পড়ে যাওয়া ট্রলি তুলতে গিয়ে প্রাণ গেল চালকের May 25, 2025
img
তীব্র গরমেও স্বস্তি, হজযাত্রীদের জন্য ঠান্ডা রাস্তার ব্যবস্থায় সৌদি May 25, 2025
img
স্বার্থান্বেষী মহল সরকারের দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুলেছে: প্রিন্স May 25, 2025
img
পীরগাছায় ধানখেতে মিলল বিষধর ওয়াল’স ক্রেট May 25, 2025
img
বগুড়ায় বাসচাপায় প্রাণ গেল দাদি-নাতির May 25, 2025
img
নাসিরনগরে অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, গ্রেফতার ২ May 25, 2025
img
ঈদ যাত্রায় ট্রেনের ৪ জুনের অগ্রীম টিকিট মিলছে আজ May 25, 2025
img
শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আলকারাজ, চ্যালেঞ্জে সিনার ও জোকোভিচ May 25, 2025
img
পেন্টাগনে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আঘাত’ বলছে প্রেস অ্যাসোসিয়েশন May 25, 2025
img
পাঁচ অভিযোগে ময়মনসিংহের ছাত্র আন্দোলনের নেতা বহিষ্কার May 25, 2025
img
মায়ানমারে পাচারের সময় ৩৪০ বস্তা সিমেন্টসহ আটক ৫ May 25, 2025
img
জাপানের ৮৫ শতাংশ বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাবে সোলার প্যানেল May 25, 2025
img
পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প May 25, 2025
img
বিশ্ববাজারে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম May 25, 2025
img
গুপ্তচর সন্দেহে ১০ জনের বেশি ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে মোদি সরকার May 25, 2025
img
হজে অংশ নিতে সৌদি পৌঁছেছেন ৮ লাখ ২০ হাজার মুসল্লি May 25, 2025
img
সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে আনচেলত্তি ও মদ্রিচকে বিদায় জানালো রিয়াল May 25, 2025
img
রোববার চট্টগ্রামের ৮ উপজেলায় হাসনাতের পথসভা May 25, 2025
img
দ. আফ্রিকায় সোনার খনি থেকে ২৬০ শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার May 25, 2025
img
পাকিস্তান থেকে ছাড়া পেয়ে পরিবারের কাছে বিএসএফ জওয়ান May 25, 2025