অনুমতি ছাড়াই ছবি ব্যবহার করায় বেজায় চটলেন অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। এমনিতে তাঁকে দেখে বেশ শান্তশিষ্ট মনে হলেও প্রয়োজনে সে যে পর্দার শ্যামলির মতোই বাস্তবেও গর্জে উঠতে পারে তা বুঝিয়ে দিলেন ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ খ্যাত নায়িকা।
কনের বেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফটোশুটে নজর কেড়েছেন শ্বেতা। তবে যতই রিল লাইফের কনে সাজুক না কেন, রিয়েল লাইফে কনে সাজার এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। শ্বেতার ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। নিজের বিশেষ দিনে লাল বেনারসি, গয়না, সুন্দর মেকআপ ও হেয়ার স্টাইলে সেজে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। সোশাল মিডিয়ায় ভীষণভাবে প্রশংসিত হয়েছে তাঁর এই সাজ। শ্বেতার বিয়ের সাজের দায়িত্ব ছিল স্টাইলিস্ট রুদ্র সাহার উপর।
শ্বেতার বিয়ের বেনারসির সঙ্গে মানানসই ব্লাউজটি রুদ্র তৈরি করতে দিয়েছিলেন শিলিগুড়ির এক ডিজাইনার ভিকি দাসকে। আর শ্বেতার সেই সাজের ছবি ব্যবহার করেই নাকি সেই ব্লাউজই দেদার বিকোচ্ছে এক বুটিকে। শুধু তাই নয় ওই বুটিক সংস্থারই তৈরি করা ওই ব্লাউজ এমনটাও দাবি করা হচ্ছে।
এই খবর কানে পৌঁছতেই বেজায় চটেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। রুদ্র সাহার অফিশিয়াল পেজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় শ্বেতা বলেছেন, “আমার বিয়ের ব্লাউজ বানিয়েছেন ভিকি দাস। তাই কোনও গুজবে কান দেবেন না। আর যারা এমন কাজ করছেন তাঁদের বলব আমার অনুমতি না নিয়ে আমার ছবি ব্যবহার করলে আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।” অন্যদিকে সংবাদমাধ্যমকে স্টাইলিস্ট রুদ্র সাহা জানিয়েছেন, “কলকাতার একটি বুটিক শ্বেতার ছবি ব্যবহার করে নিজেদের কাজের প্রচার করছে। অথচ যে আসলে কাজটা করেছেন তাঁর নামটাই কেউ জানতে পারছে না। এরকম হলে তো খুব মুশকিল। যে আসলে ডিজাইনার তাঁর কাজ, ব্যবসা দুইই মার খাচ্ছে এর ফলে।”
এসএন