এ বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের সম্মতিতে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের দ্য প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স এ ঘোষণা দেয়।রবিবার (২৫ মে) এক্স-এর বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের ধর্মবিষয়ক বিভাগ।
শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ ১৩৬৯ হিজরিতে সৌদি আরবের কাসিম প্রদেশের বুরাইদাহে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি মক্কায় শরিয়া ও ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে ১৩৯২ হিজরিতে স্নাতক এবং ১৩৯৬ হিজরিতে উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৪০২ হিজরিতে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
পরে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া অনুষদে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সালেহ বিন হামিদ ছিলেন মক্কার পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদের ইমামদের সর্বপ্রথম ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৪২১ হিজরিতে তিনি পবিত্র মসজিদুল হারাম ও পবিত্র নববি বিষয়ক পরিষদের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৪২২ হিজরি তাকে সৌদি সরকারের শুরা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। ১৪৩০ হিজরিতে তাকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়।
পরবর্তীতে ১৪৩৩ হিজরিতে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নেন। পরে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় তাঁকে রাজকীয় আদালতের উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
দ্য প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স-এর প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আল-সুদাইস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘ড. সালেহ বিন হুমাইদকে এ বছরের পবিত্র হজের খতিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় পবিত্র দুই মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ সব কর্মীদের পক্ষ থেকে সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। নিয়োগের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী সৌদি আররেব ধর্মীয় নেতৃত্বকে পুনরায় নিশ্চিত করে। তা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি অটল সমর্থন এবং পবিত্র দুই মসজিদের প্রতি সৌদি সরকারের নিষ্ঠা এবং তাদের মধ্যপন্থা ও ঐক্যের বার্তা প্রতিফলিত করে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র আরাফা দিবস আগামী ৫ জুন মোতাবেক ৯ জিলহজ হতে পারে। দিনটি ইসলামের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দিনগুলোর একটি। আরাফার এ দিনে মক্কার অদূরে অবস্থিত মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেওয়া হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লাখো মুসলিমের জন্য হজের খুতবা আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।
প্রতিবছরের মতো এবারও হজের খুতবা বাংলাসহ প্রায় ২০টি বিভিন্ন ভাষায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। হজের আধ্যাত্মিক শিক্ষা বিস্তৃত পরিসরে পৌঁছে দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হয়।
এমআর/টিএ