ভারতের একটি চিকেন নেক থাকলেও বাংলাদেশের দুটি চিকেন নেক আছে বলে দাবি করেছেন ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
রোববার (২৫ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেন, যারা ভারতের চিকেন নেক করিডর নিয়ে নিয়মিত হুমকি দেন, তাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে বাংলাদেশেরও দুটি চিকেন নেক রয়েছে এবং দুটিই আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম চিকেন নেক হলো ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তরাঞ্চলীয় একটি করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এই করিডর যদি কোনোভাবে বিঘ্নিত হয় তাহলে রংপুর বিভাগ পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় চিকেন নেকের তথ্য তুলে ধরে আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার চট্টগ্রাম করিডোর। এটি ভারতের চিকেন নেকের চেয়ে ছোট। করিডরটি ভারতের শিলিগুড়ি করিডরের চেয়েও ছোট এবং অনেক বেশি স্পর্শকাতর।
এর আগে, গত ২২ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ভুলে যাবেন না আপনাদেরও (বাংলাদেশ) দুটি চিকেন নেক রয়েছে। আমাদের চিকেন নেকের দিকে তাকালে বা আক্রমণ করলে ভারত আপনাদের দুটি চিকেন নেকেই আক্রমণ করবে।
উল্লেখ্য, চিকেন নেক বা শিলিগুড়ি করিডর হলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি সংকীর্ণ ভৌগোলিক করিডর, যা ভারতীয় মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর (অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম ও ত্রিপুরা) সঙ্গে যুক্ত করে।
এই করিডর মাত্র ২০ থেকে ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং দেখতে অনেকটা মুরগির গলার মতো সরু, তাই এর নাম ‘চিকেনস নেক’। দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির মাঝামাঝি অবস্থিত এই সরু করিডরের এক পাশে আছে নেপাল ও ভুটান, অন্যদিকে বাংলাদেশ ও চীন (তিব্বতের চুম্বি ভ্যালি)।
এসএম