মাদরাসার একাডেমিক ভবনের টিনের চালায় বল কুড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে মো. সাঈফ বিন আনোয়ার (১১) নামের এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) রাতে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এর আগে ওইদিন বিকেলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারস্থ আহমাদিয়া কামিল মাদরাসার টিনশেড ভবনের ছাদে এ বিদ্যুৎস্পর্শে সাঈফ মারাত্মক দগ্ধ হয়।
সাঈফ হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ গ্রামের কাসারি বাড়ির মো. আনোয়ার হোসেন লিটনের একমাত্র ছেলে ও হাজীগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার বিকেলে অন্য শিশুদের সঙ্গে বল নিয়ে খেলাধুলা করছিল সাইফ। এর এক ফাঁকে বলটি মাদরাসার টিনের চালায় আটকে যায়। এ সময় চালায় ওঠে বলটি নামিয়ে আনতে গেলে বিদ্যুৎস্পর্শে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে সে।
তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় তাকে।
সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠান। রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাইফের প্রতিবেশী ও হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী হাফেজ মো. মহসিন।
এদিকে শিক্ষার্থীর বিদ্যুৎস্পর্শের খবর পেয়ে রাতেই চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর লাইনম্যান ঘটনাস্থলে এসে মাদরাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট কিংবা বিদ্যুতের তার (ক্যাবল) ছিঁড়ে মাদরাসার চালায় লেগে থাকায় টিন বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। এতে চালা থেকে বল নামিয়ে আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে সাইফ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ তানভীর হাসান বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফ বিন আনোয়ারকে কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলসহ শিশুটির বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এসএম