আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে এ দেশ গড়ব : হাসনাত আবদুল্লাহ

যারা চাঁদাবাজি করে না, টেন্ডারবাজি করে না। যারা জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করবে, আপনারা তাদেরকে ভোট দেবেন। তখন আপনারা তাদেরকে বলতে পারবেন। আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে এদেশ গড়ব বলে মন্তব্য করেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। 

তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। দেশের নেতারা টাকা পাচার করে দুর্নীতি করে, লুটপাট করে। আর আমাদের দেশের ভোটাররা তাদের ভোট বিক্রি করে দেয়। এক হাজার টাকা দিয়ে ভোট বিক্রি হয়। আপনারা যদি ভোট বিক্রি করে নেতা বানান, তাহলে তাদের কাছ থেকে কেমনে আপনাদের সঙ্গে থাকার প্রত্যাশা করেন।

রোববার (২৫ মে) রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার মোড় চত্বরে আয়োজিত পথসভায় এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

পথসভায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় সংগঠক ও পটিয়ার সংগঠক এবং ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের প্রথম আন্দোলন পটিয়া থেকেই শুরু হয়েছিল।

যখন মানুষ কথা বলতে ভয় পেত তখন বীর চট্টলার মধ্যে পটিয়ার মানুষই জীবনকে হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। পটিয়াবাসী আপনারা যেমন সংগ্রাম-লড়াইয়ে আগে থাকেন, তেমনিভাবে আপনাদের কাছে আমাদেরও প্রত্যাশা থাকবে, সামনে আপনাদের কিন্তু অনেক বেশি দায়িত্ব রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এখনো সংকট প্রতিনিয়ত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে আমাদের মাঝে বিভাজন দেখা দিচ্ছে।

আমরা বিভাজন চাই না, আমরা যাতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারি সেভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা চট্টগ্রামের মানুষ। তারপরও কেন চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের এ করুণ অবস্থা। সড়ক বিভাগের দায়িত্বে থাকার পরও যদি আপনাদের সিঙ্গেল লাইন রাস্তা থাকে তাহলে সেটা পটিয়াবাসীর জন্য দুর্ভাগ্য। আপনাদের উচিত সমন্বিতভাবে দাবি উত্থাপন করা, যাতে করে এ সড়ক দ্রুত প্রশস্ত করা হয়।

এসএম 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পুশইনে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেল বিএসএফ May 29, 2025
img
হ্যারি পটার ও তার বন্ধুদের চরিত্রে যাদের দেখা যাবে পর্দায় May 29, 2025
img
সব মামলায় তারেক রহমানের খালাস: সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ইউট্যাব May 29, 2025
img
আমাদের অবশ্যই জুলাই-আগস্টের কথা বলতে হবে:প্রধান বিচারপতি May 29, 2025
‘এক এক্সপ্রেসওয়ের টাকাও গোটা রংপুর বিভাগে দেওয়া হতো না May 29, 2025
img
কোনো গণতান্ত্রিক দেশেই নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়া সংস্কারের জন্য থেমে থাকে না:ফখরুল May 29, 2025
img
ছবি পরিবর্তন করে এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি,অবশেষে ধরা May 29, 2025
img
চট্টগ্রামে হামলা :আটক ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ May 29, 2025
img
একটি রাজনৈতিক দল মামলা ব্যবসায় নেমেছে: সারজিস আলম May 29, 2025
img
মিরপুরে বাসায় ঢুকে দম্পতিকে হত্যা May 29, 2025
img
পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকায় আকস্মিক বিস্ফোরণ May 29, 2025
img
নুসরাতের পোস্ট ঘিরে যশের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন আরও তীব্র May 29, 2025
img
ঢাবিতে এবার প্রকাশ্যে এলো ইসলামী ছাত্রীসংস্থা May 29, 2025
img
ধেয়ে আসছে ঝড়,বড় ধরণের বন্যার শঙ্কায় ফেনী-কুমিল্লা May 29, 2025
দুই যুগ পর দেশে ফিরে সেনা অভিযানে গ্রেফতার সুব্রত বাইন May 29, 2025
img
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ বাংলাদেশি প্রবাসী May 29, 2025
img
আমাদের টার্গেট জাপানে ১ লক্ষ দক্ষ কর্মী পাঠানো:প্রেস সচিব May 29, 2025
img
আগামীকাল যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না May 29, 2025
img
নির্বাচনকে সংস্কারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার:নয়ন May 29, 2025
চীনকে ২২ বিলিয়ন ডলার ফেরত দেবে দরিদ্রতম ৭৫ দেশ May 29, 2025