রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চলমান কর্মবিরতির কারণে আহত জুলাই যোদ্ধাসহ অন্য রোগীরা সব ধরনের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বুধবার (২৮ মে) সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়।
আহত জুলাই যোদ্ধাদের অভিযোগ, তারা চিকিৎসা ও খাদ্যসহ অন্য জরুরি সেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে উন্নত চিকিৎসাসেবা না পাওয়া এবং বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আহত যোদ্ধারা প্রতিবাদ করে আসছেন।
বুধবার জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, জুলাই শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধারা জাতির গর্ব। তাদের প্রকৃত সম্মান প্রদানে ব্যর্থ হলে, বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে।
যা এ দেশের মুক্তিকামী জনতা কখনোই মেনে নেবে না। জুলাই আহতদেরকে বিশেষত পৃথিবীর আলো নিভে যাওয়া যোদ্ধাদের সাধারণ চিকিৎসা প্রার্থী হিসেবে না দেখে, তাদের মানসিক ট্রমা পোস্ট ওয়ার সাইকোলজিক্যাল স্টেট বিষয়টি বিবেচনা করে, তাদের সঙ্গে আচরণ করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য সকল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জুলাই আন্দোলনের গর্বিত শহীদ পরিবার ও আহত বীরদের যথাযথ সম্মান প্রদানে ব্যর্থ হলে জাতির মহান আত্মত্যাগকে অমর্যাদা করা হবে। যে রাষ্ট্র তার সত্যিকারের বীরদের রক্তের মূল্য দিতে জানে না, সে রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার, মানবতা ও গণতন্ত্র ব্যর্থতায় নিমজ্জিত হয়।
এমআর