পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সংকট নিরসনে আগের মতোই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুতের সংস্কার শুধু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, দেশের গণমানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। পল্লী বিদ্যুতের সংস্কারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাত দফা দাবির সঙ্গে ইতোমধ্যে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সংহতি তার স্পষ্ট প্রমাণ। গত ২১ মে থেকে আরইবি-পবিস দ্বৈত ব্যবস্থাপনা নিরসন, আরইবির ফ্যাসিস্ট চেয়ারম্যানের অপসারণ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণ, সব শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল ও আন্দোলনের অজুহাতে বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন এবং নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের সাত দফা দাবিতে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি এবং মাঠ পর্যায়ে সব সমিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে কর্মবিরতি পালন করছে। বৃহস্পতিবার নবম দিনের মতো কর্মসূচি পালিত হলেও দাবি বাস্তবায়নে কিংবা সংকট নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে বিদ্যুৎ ভবনে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত ও বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট সংস্কারের পক্ষে আসায় সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থানকারী আরইবির অনৈতিক হস্তক্ষেপে তা বাঁধাগ্রস্ত হয়। আমরা জেনেছি, বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক বিদ্যুৎ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আগামী ১ জুন বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারির পর দীর্ঘদিন কমিটির প্রতিবেদন চূড়ান্তের কোনো অগ্রগতি না থাকায় আমরা বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বরাবর গণস্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করি। স্মারকলিপি প্রদানের জন্যও আরইবি চেয়ারম্যান সাতজনকে বরখাস্ত ও সংযুক্ত করেছে। আন্দোলনের কারণে আবারও সেই একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। বিদ্যমান সংকট নিরসনে আন্তরিক না হয়ে বারবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিপীড়িত কর্মীদের সঙ্গে প্রহসন করা হচ্ছে।
এসময় শুক্রবারের জন্য যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় সেগুলো হলো–
১. শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি জরুরি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে পূর্বের ন্যায় সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি চলমান থাকবে।
২. আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণের আল্টিমেটামের ২৪ ঘণ্টা অতিক্রম হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৈরী আবহাওয়া বিবেচনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবার স্বার্থে সব কল সেন্টারের মোবাইল ফোন নিজ নিজ অফিস প্রধান/সিনিয়র জিএম/জিএমের কাছে হস্তান্তর করবে।
৩. পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হলে সব অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল হস্তান্তর করা হবে।
৪. শুধু উপকেন্দ্রগুলো ও বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে লাইনক্রুসহ সবাই শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে।
এমআর