জুহি চাওলা মানেই বলিউডের বাবলি গার্ল হিরোইন। মিষ্টি হাসিতে গৌরবর্ণা জুহি আশির দশকের শেষ থেকেই দর্শকের মন জিতে নেন। শাহরুখ খান , আমির খানদের প্রথম দিকের সুপারহিট হিরোইন ছিলেন জুহি। আবার বাংলা ছবিতেও প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির দুটি হিট ছবির নায়িকা ছিলেন বি-টাউনের জুহি চাওলা।
সম্প্রতি কলকাতার এক অনুষ্ঠানে প্রসেনজিতের পাশেই দাঁড়িয়ে জুহি চাওলা মজা করে বললেন, ‘আমি যে যে নতুন হিরোদের নায়িকা হয়েছিলাম, তারাই পরে ইন্ডাস্ট্রির মেগাস্টার হন। আমির, শাহরুখ থেকে বাংলার প্রসেনজিৎ!’যদিও জুহি মজা করেই বলেছেন কথাটা, কিন্তু কিছু দর্শক মন্তব্য করছেন জুহি নিজেকেই যেন বিশাল বড় স্টার ভাবছেন তার হিরোদের থেকে।
১৯৮৮ সালে জুহির আমির খানের সঙ্গে কালজয়ী হিট ছবি ছিল ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’। যা ছিল শেক্সপিয়রের ‘রোমিও জুলিয়েট’-এর আধুনিক রূপ। রাতারাতি যে ছবি দিয়ে আমির আর জুহি- দুজনেই তারকা হয়ে ওঠেন। বলা যায়, সেই আমিরের ভাগ্যবদলে জুহিই ছিলেন তার নায়িকা।
আবার শাহরুখ খানের প্রথম দিককার একাধিক হিট ছবি ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’, ‘ডর’, ‘রাম জানে’, ‘ডুপ্লিকেট’, ‘ইয়েস বস’ এর নায়িকা ছিলেন জুহি। শাহরুখ-জুহি দুজনে খুব ভালো বন্ধুও। একসঙ্গে প্রযোজনা সংস্থা খোলা থেকে আইপিএল-এ ক্রিকেট দলের মালিকানা- সবকিছুতেই একসঙ্গে থেকেছেন শাহরুখ-জুহি।
এদিকে টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে এসে নায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জিকে। প্রসেনজিৎ তখন নিজেই নতুন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে জুহি চাওলা ১৯৮৯ সালে ‘অমর প্রেম’ ছবিতে অভিনয় করেন। এই ছবির পরিচালক ছিলেন সুজিত গুহ। এর কয়েক বছর পর ১৯৯২ সালে আবার জুহি চাওলা বাংলা ছবি করেন ‘আপন পর’। সেখানেও জুহির বিপরীতে হিরো হিসেবে আসেন প্রসেনজিৎ। এরপর থেকেই ভাগ্য খুলতে থাকে বাংলার এই নায়কেরও।
তাই তো জুহি মজার ছলেই বলেন, ‘আমি যে যে হিরোর নায়িকা হয়েছি, সবাই পরে সুপারস্টার হন আমির-শাহরুখ-প্রসেনজিৎ!’
এমআর