বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিরূপ আবহাওয়া দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত থেকে দ্বীপজুড়ে দমকা হাওয়ার সঙ্গে টানা ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এর ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার জোয়ারে শতাধিক বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্বীপের গলাচিপা, কোনাপাড়া ও দক্ষিণপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সাগরের পানি ঢুকে পড়েছে এবং চারপাশে শুরু হয়েছে ভাঙন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের কারণে দ্বীপে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এতে দ্বীপের তিনটি বড় পাড়া পানির নিচে। শতাধিক পরিবার দুর্ভোগে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দ্বীপে অবস্থানরত বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার ঘাটে নোঙর করা অবস্থায় সাগরের ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। শুক্রবার ভোরে আবারও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায় দ্বীপে। টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়েছে দ্বিগুণ।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে টানা চার দিন বন্ধ রয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ চলাচল। এতে দ্বীপে দেখা দিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ঘাটে নোঙর করা অবস্থায় কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আতঙ্কের কিছু নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সক্রিয়ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছেন। যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, তাহলে লোকজনকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। এখনো সে ধরনের অবস্থা হয়নি।
ইউএনও বলেন, টানা বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত চার দিন ধরে সেন্টমার্টিনে কোনো পণ্যবাহী ট্রলার যেতে পারেনি। ফলে দ্বীপে ধীরে ধীরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলেই দ্রুত পণ্য পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএ/টিএ