বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দীর্ঘদিন আইসিসির গেম ডেভেলপমেন্টে কাজ করা আমিনুল এবার হাল ধরেছেন দেশের ক্রিকেটের। এ ছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও সহ-সভাপতি হয়েছেন আরেক পরিচালক ফাহিম সিনহা।
৩০ মে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। পরে বিসিবি পরিচালকদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন দেশের প্রথম এই টেস্ট অধিনায়ক। ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নাজমুল হাসান পাপনের জায়গায় নতুন করে সভাপতির চেয়ারে বসেছিলেন ফারুক। আরেক আগস্ট আসার আগেই আবারও পালাবদল হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে।
সদ্য বিসিবি বসের দায়িত্ব পাওয়া আমিনুলকে বলা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম যোদ্ধা। নব্বইয়ের দশকে বিশ্বে ক্রিকেটে বাংলাদেশ যখন কেবলই আসন্ন প্রতিভার নাম, তখন আমিনুল একাই রচনা করেন এক নতুন অধ্যায়ের। ১৯৮৬ তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা এই অলরাউন্ডার সিমিত সুযোগ আর সীমাহীন স্বপ্ন নিয়ে এক সময় হয়ে উঠেন বাংলাদেশ ক্রিকেট রেনেসাঁর প্রধান চরিত্র।
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। আর সেই ম্যাচে, আমিনুলই ছিলেন দলের কৌশলগত মস্তিষ্ক। ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরি।
অবসরের পরও থেমে যাননি আমিনুল। আইসিসির হয়ে কাজ করেন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে, বিশ্বের নতুন প্রজন্মকে শেখান ক্রিকেটের ভাষা। ক্যারিয়ারে খুব বেশি কিছু করতে না পারলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভিত গড়ায় আমিনুলের অবদান অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দেয়া আমিনুলের কাঁধে এবার বিসিবির গুরু দায়িত্ব। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলকে কতটা টেনে নিতে পারবেন আমিনুল? টেস্ট দলের নেতৃত্বের মতই কি টেনে তুলতে পারবেন দুর্নীতিতে ডুবে থাকা বিসিবিকে? যদিও এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এসএম/টিএ