সুরভীন চাওলা আজও ভুলতে পারেন না সেই দিনগুলির কথা। কিশোরীবেলায় পরপর দু’বার প্রেমে পড়ায় সমাজ দেহ পসারিণীর তকমা দিয়েছিল তাঁকে!
সুরভীন চাওলার অতীত মোটেও সুন্দর নয়। রক্তাক্ত দিনগুলি আজও তাঁকে তাড়া করে। কখনও তিনি ভাগ করে নেন বিনোদন দুনিয়ার যৌন হেনস্থার কথা, কখনও কিশোরীবেলার কথা। মাত্র ১৫ বছরের সুরভীনকে দেখে কোনও এক পুরুষ হস্তমৈথুন করেছিলেন। আবার ওই বয়সেই তাঁকে শুনতে হয়েছিল, তিনি নাকি ‘বেশ্যা’! সকলের শয্যাসঙ্গিনী হন। এ সব শুনে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী যে অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন!
এই ধরনের কথা শোনার মতো বয়স নয় সেটা। অভিনেত্রী তখন নবম শ্রেণি। ওই বয়সেই পরপর দু’বার প্রেমে পড়েছিলেন। প্রথম প্রেম ভাঙার পরে দ্বিতীয় প্রেম হয় প্রাক্তনের বন্ধুর সঙ্গে। কিশোরীবেলার সেই প্রেমের কথা সকলকে বলেছিলেন সুরভীন। বোঝেননি, কিছু কথা গোপন রাখতে হয়। তখনই আত্মীয়-বন্ধু, পড়শিদের থেকে শুনতে হয়েছিল আপত্তিকর কথাগুলো। শুনতে শুনতে নিজের উপরে এতটাই ঘৃণা জন্মেছিল যে সারা ক্ষণ অবসন্ন তিনি। মাথা ব্যথায় কষ্ট পেতেন।
একটা সময়ের পর বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু চিকিৎসকও তাঁর খুব উপকার করতে পারেননি। সুরভীনকে তিনি মাইগ্রেনের ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন। অভিনেত্রীর কথায়, “নিজের অভিজ্ঞতা, হার না মানা মনোভাব আমায় এই সমস্যা থেকে বের করে এনেছিল।” সুরভীনের মা-বাবাও এ সব কথা জানতেন না। নিজেকে এতটাই গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এখন সংবাদমাধ্যমে তাঁর সাক্ষাৎকার থেকে তাঁরা জানতে পারছেন সে সব। বুঝতে পারছেন, তাঁদের সন্তান কতটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।
এফপি/এসএন