বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের চলমান সংকট থেকে মুক্ত হওয়ার একমাত্র পথ হলো নির্বাচিত সরকার ও সংসদ।
আজ শনিবার (৩১ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, একটি দেশে সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, আর্মি মূল শক্তি নয়; বরং যেই জনগণ সরকারকে নির্বাচিত করে, তারাই মূল শক্তি। এই শক্তির ওপর ভিত্তি করে পুলিশ কাজ করে।
তিনি বলেন, যাদের শক্তির মাধ্যমে সরকার পরিচালিত হয়, সেই শক্তি যদি না থাকে তাহলে দেশ এগোয় না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতন্ত্রায়ণ আনতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর অনেক পরিবর্তন এসেছে। এটি যে রাজনৈতিক দল অনুধাবন করতে পারবে না, সে দলের কোনো ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে নেই।
তিনি বলেন, এই দেশকে বড় ধরনের পরিবর্তনের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে, সবাইকে তাতে অংশগ্রহণ করতে হবে। সবাইকে আগামীর বাংলাদেশে সম্পৃক্ত করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে হবে।
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকার কী করবে না করবে সেটির ধার ধারি না, কিন্তু আমার মাথাব্যথা হলো আমি বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার চাই।’
খসরু বলেন, জাতি যেখানে সামনের দিকে যেতে চাচ্ছে সেখানে হাতে গোনা চার-পাঁচটি দল–এরা এখনও নিবন্ধিত নয়–বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে এদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই–তাদের জন্ম পাঁচই আগস্টের পর–নির্বাচিত দল ক্ষমতায় আসুক তারাই চায় না।
আওয়ামী লীগ শাসনামলের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের ৬০ লাখের বেশি মানুষ মামলার শিকার গত ১৫-১৬ বছরে। আমাদের সামনে জেলখানায় লোক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। আমাদেরও মৃত্যু হতে পারত, আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। যে গণতন্ত্রের জন্য জমি-সহায় সম্বল হারিয়ে মানুষ হার্ট অ্যাটাক করে মরেছে; সেই গণতন্ত্রকে যদি কেউ পথরুদ্ধ করতে চায়, এটি কি হতে পারে?’
তিনি আরও বলেন, একটি নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই হতে হবে। দেশের চলমান সংকট থেকে মুক্ত হওয়ার পথ একটাই–নির্বাচিত সরকার ও সংসদ। দশ মাস পার হলেও সরকার এখনও অনেককে বিচারের আওতায় আনতে পারেনি।
এসএম/এসএন