ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক যুবলীগ নেতাকে পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় মিজানুর রহমান নামে ওই যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত মিজানুর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার (০২ জুন) সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বিকেলে জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মো. আল আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
দলীয় প্যাডে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের নির্দেশক্রমে জেলার বিজয়নগর উপজেলার ১ নং বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানকে সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে জড়িত থাকার দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে ঘটনার পর পরই খবর পেয়ে মিজানুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছিলো জেলা যুবদল। যার সময়সীমা শেষ হয় শনিবার (৩১ মে)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধন্তী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়াকে আটক করতে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের ইউনুস মিয়ার দোকানে ১৫ মে রাত ১১টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কৌশলে সোহাগ মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
ওই দোকানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনা রেকর্ড হয়। যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়।
এ ঘটনায় গত ১৭ মে ওই যুবদল নেতা মিজানুর রহমানসহ ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় মামলা করেছেন এসআই সুমন চন্দ্র দাস।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ রয়েছে দলের সঙ্গে জড়িত কেউ কোনোরকম অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত ওই যুবদল নেতাকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। যার মেয়াদ শনিবার শেষ হয়েছে।
তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদরে সঙ্গে আলোচনা করে সোমবার তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুধু মিজানুরই নয় যারাই সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হবে সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আসামি পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় যুবদল নেতা মিজানুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এফপি/ টিএ