ইতালিতে আগামী শুক্রবার (৬ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। সেদিন দেশটির বিভিন্ন শহরে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের ২৫ লাখ মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ঈদ উদযাপন করবেন। সাধারণত সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই ঈদ উদযাপন করা হয় ইউরোপের দেশগুলোতে।
ঈদুল আজহার প্রধান অনুষঙ্গ যেহেতু পশু কোরবানি, তাই প্রবাসী মুসলমানদের মধ্যে পশু কোরবানি নিয়েই তোড়জোড় বেশি। ইতালির বিভিন্ন শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে কোরবানির প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই প্রবাসী কমিউনিটিতে।
ইতালির রোম, মিলান, ভেনিস, ভিচেন্সা, নাপোলি, বলোনিয়া, ফ্লোরেন্সসহ বিভিন্ন শহরের মসজিদ এবং ইসলামিক সেন্টারগুলো কোরবানির আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।
দেশি গ্রোসারি, ডেইরি ফার্মে কোরবানির অর্ডার দিচ্ছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ আবার ব্যক্তি উদ্যোগে কোরবানি দিচ্ছেন বলে জানান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, প্রবাসীদের সুবিধার জন্য হালাল কসাইখানাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে মাংস প্রক্রিয়াজাত ও বিতরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অনেকে অনলাইনেও অর্ডার দিচ্ছেন নির্দিষ্ট ইসলামিক সংগঠনের মাধ্যমে।
রোমের এক প্রবাসী বাংলাদেশি জানান, প্রতি বছর আমরা বন্ধু-বান্ধব মিলে কোরবানি দেই। এবারও একইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখানে ধর্মীয় বিধি মেনে কোরবানি দেওয়ার সুযোগ থাকায় আমরা অনেকটাই স্বস্তিতে আছি।
এছাড়াও প্রবাসীরা স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মনীতি মেনে কোরবানির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সচেতন। নির্ধারিত স্থান ও সময় মেনে পশু জবাই ও পরিবেশ রক্ষা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় ইসলামিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছে।
মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলো এক বিবৃতিতে জানায়, কোরবানির দিনগুলোতে সবাই যেন সুষ্ঠুভাবে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। সবার নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেই কোরবানির আয়োজন হবে।
প্রবাসে থেকেও ধর্মীয় এই গুরুত্বপূর্ণ উৎসব পালনের জন্য প্রবাসীদের মধ্যে রয়েছে বিশেষ উৎসাহ ও আবেগ। পারিবারিক পরিবেশে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার পাশাপাশি কমিউনিটি গড়ে তোলার এক সুন্দর উদাহরণ সৃষ্টি করছে ইতালির বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
এফপি/ টিএ