জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রমিক ও শ্রম অধিকার বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) ফিলিস্তিনকে ‘জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন’ থেকে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আইএলও’র প্রাথমিক সদস্যপদ পাওয়ার দীর্ঘ ৫ দশকেরও বেশি সময় পর এই স্বীকৃতি বা পদোন্নতি পেল ফিলিস্তিন।
সোমবার (১ জুন) সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় আইএলও’র সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ১১৩তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে ‘অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আগামী বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি ঘোষণা করা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আইএলও।
জাতিসংঘের মূল সংস্থা সাধারণ পরিষদ ২০২৪ সালে ১০ মে ফিলিস্তিনকে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তারপর একই মাসে ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের অপর দুই সংস্থা ইউনেস্কো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এবার তৃতীয় সংস্থা হিসেবে ফিলিস্তিনকে এ স্বীকৃতি দিলো আইএলও।
কোনো দেশ বা অঞ্চল যদি জাতিসংঘ এবং তার কোনো অঙ্গসংস্থায় ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়, সেক্ষেত্রে ওই দেশ বা অঞ্চল সংশ্লিষ্ট সংস্থার বৈঠক, আলোচনা এবং নিয়মিত সেশনে উপস্থিত থাকতে পারবে, আলোচনায় অংশও নিতে পারবে কিন্তু কোনো প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে না। এটি মূলত পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদের পূর্বের অবস্থা।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য এবং রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ক্রাইশি আইএলও’র এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, “সম্প্রতি ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সেই প্রত্যাখ্যানের দৃঢ় এবং দ্ব্যর্থহীন জবাব দিয়েছে আইএলও।
রোববার আইএলও’র সম্মেলনসভায় যখন ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান বিষয়ক প্রস্তাব উত্থাপিত হলো, এবং প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ভোট চাওয়া হলো— সে সময় একমাত্র হাঙ্গেরি ছাড়া অন্য সব রাষ্ট্র প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। বিবৃতিতে ইব্রাহিম ক্রাইশি এ ব্যাপারেও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “হাঙ্গেরির অবস্থান আমাদের বিস্মিত করেছে। কারণ হাঙ্গেরি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৯৮৮ সালে। বিশ্বের বহু রাষ্ট্র তখনও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি।”
এসএম/এসএন