২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা (মহার্ঘ ভাতা) বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড.সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার (০২ জুন) জাতীয় বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং বিগত অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।’
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার হার বিদ্যমান ৫ শতাংশ থেকে বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে ১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই ৫ শতাংশসহ মোট ১৫ শতাংশ এবং ১ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তারা ১০ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা পেতে পারেন।
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা পান। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও সাবেক অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করেছিলেন। বাজেটের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে নিয়মিত ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করেন।
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন স্কেল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য প্রতি মাসে ৭৮ হাজার টাকা বেতন নির্ধারিত। একইভাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব ও সমমর্যাদার পদের বেতন ৮৬ হাজার টাকা এবং জ্যেষ্ঠ সচিব ও সমমর্যাদার পদের বেতন ৮২ হাজার টাকা নির্ধারিত।
প্রতিবছর গ্রেড-২ পদে ৩.৭৫ শতাংশ, গ্রেড-৩ ও ৪ পদে ৪ শতাংশ, গ্রেড-৫ পদে ৪.৫ শতাংশ, গ্রেড-৬ থেকে ২০ পর্যন্ত পদে ৫ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট হয়।
ধারণা করা হয়েছিলো বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য গ্রেড অনুযায়ী দুই ভাগে ভাগ করে মহার্ঘ ভাতা দেয়ার নির্দেশনা থাকবে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি।
আরআর/এসএন