গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে অনন্ত আম্বানি তাঁর কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য রাধিকা মার্চেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সময় তাঁকে যিনি সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছেন, তাঁকে ‘শক্ত একটি স্তম্ভ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন অনন্ত আম্বানি।
মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানি শৈশব থেকেই স্থূলতা ও হাঁপানির মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে লড়াই করে এসেছেন। জীবনের এমন কঠিন সময়ে পাশে থাকেন এমন একজন আপনজনের গুরুত্ব অপরিসীম। অনন্তের জীবনে এমন একজন রয়েছেন যিনি সবসময় তাঁর পাশে ছিলেন, সুখে-দুঃখে একসাথে ছিলেন।
ভারতের জামনগরে প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের আগে ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনন্ত জানিয়েছিলেন, এই কঠিন সময়ে তাঁর পাশে কে ছিলেন। অবাক করা বিষয়, সেই ব্যক্তি তাঁর বাবা-মা বা ভাইবোন নন। অনন্ত বলেছিলেন, তাঁর শক্তির উৎস রাধিকা মার্চেন্ট।
অনন্ত বলেন, “আমি খুব ভাগ্যবান (তাঁকে পেয়ে)। তিনি আমার স্বপ্নের মানুষ। ছোটবেলায় আমি ভাবতাম আমি কখনো বিয়ে করব না, কারণ আমি সবসময় পশুদের যত্ন নেওয়ার প্রতি নিবেদিত ছিলাম। কিন্তু যখন রাধিকাকে পেলাম, দেখলাম তিনিও আমার মতো একই মূল্যবোধ ধারণ করেন। তাঁর মাঝেও পশুদের প্রতি ভালোবাসা ও সেবার মনোভাব আছে।”
অনন্ত জানান, যদিও তাঁর বাবা-মা সবসময় তাঁকে সমর্থন করেছেন, তবুও তাঁর স্বাস্থ্য সমস্যা কাটিয়ে উঠতে রাধিকাই তাঁকে সবচেয়ে বেশি মানসিক শক্তি দিয়েছেন। “আমার বাবা-মাও কখনো আমাকে অসুস্থ মনে করাননি। এমনকি যখন ডাক্তাররাও নিরাশ হয়ে গিয়েছিলেন, তখনও তাঁরা আশার সঞ্চার করেছেন। তবে এর বাইরেও রাধিকাই ছিলেন সেই শক্তি, যিনি সবসময় আমার পাশে থেকেছেন।”
শিল্পপতি বিরেন মার্চেন্টের কন্যা রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে অনন্ত আম্বানির বিয়ে হয় ২০২৪ সালের ১২ জুলাই এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে। তাঁদের বিবাহ-উৎসব চলে দীর্ঘ সাত মাস ধরে, যার মধ্যে ছিল ভারতের জামনগরে একাধিক প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান এবং ইতালির পোর্টোফিনোতে একটি বিলাসবহুল ক্রুজ পার্টি।
কেএন/এসএন