গণমাধ্যমকে দেওয়া এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে রশ্মিকা মান্দান্না জানালেন এমন এক তথ্য, যা শুনে অবাক অনেকেই। তিনি বলেন, ছোটবেলায় কখনও ভাবেননি যে অভিনয় করবেন, সিনেমায় আসার ইচ্ছেটাও ছিল না তার। অথচ আজ তিনি দক্ষিণ ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে প্যান-ভারতীয় তারকা, আন্তর্জাতিক মহলেও যার পরিচিতি।
রশ্মিকার ভাষায়, “অভিনয় কখনও জীবনের লক্ষ্য ছিল না। কিন্তু এখন ফিরে তাকিয়ে বুঝি, সেই হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তটাই ছিল জীবনের সবচেয়ে বড় বদল।”
কর্ণাটকের কুর্গের মতো এক নিরিবিলি ছোট শহর থেকে উঠে এসে আজ তিনি পৌঁছে গেছেন কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায়। তার মতে, “আমি যদি পারি, তাহলে কেউই আটকে থাকার কথা না।” এই কথায় ফুটে ওঠে এক বাস্তব জীবনের লড়াই, যা উৎসাহ দিচ্ছে অনেক তরুণ স্বপ্নবাজকে।
‘পুষ্পা’, ‘অ্যানিম্যাল’-এর মতো ব্লকবাস্টার সিনেমা তার কাঁধে, সামনে আছে ‘পুষ্পা ৩’, ‘কুবেরা’, ‘থমা’র মতো বড় প্রকল্প। কিন্তু এত সাফল্যের পরও রশ্মিকা নিজেকে নিয়ে মাটিতেই আছেন। তিনি বলেন, “আজ কিছু আছে, কাল কিছুই নাও থাকতে পারে—এই সত্যিটা মনে রেখেই চলি। তাই ভিতর থেকে স্থির থাকা জরুরি।”
পরিবার আর ঘনিষ্ঠরাই তার সবচেয়ে বড় মানসিক ভরসা। খ্যাতি, জনপ্রিয়তা—সব কিছু ছাপিয়ে তারা তাকে বাস্তবের মাটিতে রাখেন।
রশ্মিকার যাত্রাপথটা আলাদা। কোথাও কোনো সাজানো পরিকল্পনা ছিল না, ছিল না নির্দিষ্ট লক্ষ্যও। তিনি এগিয়েছেন নিজের অনুভূতির ওপর ভর করে। অনেক তারকা যেখানে হিসেব-নিকেশ করে ক্যারিয়ার চালান, রশ্মিকার পথটা একেবারে স্বতঃস্ফূর্ত, অকৃত্রিম।
‘কুবেরা’ ছবিতে ধানুশ ও নাগার্জুনার সঙ্গে স্ক্রিন ভাগ করবেন তিনি। ‘থমা’ হবে একটি সুরেলা প্রেমের গল্প। আর ‘পুষ্পা ৩’-এর অপেক্ষায় তো রয়েইছেন তার অগণিত ভক্ত।
পরিকল্পনা নয়, বিশ্বাস আর সাহস থাকলেই জীবন ঘুরে যেতে পারে। অভিনয় রশ্মিকার জীবনের লক্ষ্য ছিল না, তবু আজ তিনি লাখো ভক্তের হৃদয়ে রাজত্ব করছেন।
এসএম/টিএ