শ্রাবন্তীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যায়, মধ্যরাতে এক অজানা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন শ্রাবন্তী, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন চক্রবর্তী। পাপারাজ্জিরা প্রশ্ন করলেও কোনো উত্তর দেননি নায়িকা। ইশারায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কিছু একটা ঘটতে চলেছে। অবশেষে জানা যায় সেই কারণ। এর সঙ্গে মিশে ছিল তার অভিনেত্রী হিসেবে স্বপ্ন পূরণের গল্প। বাতাসে তখন পূজার গন্ধ। তবে অন্য অনেকের মতো তার হাতে শপিং ব্যাগ ছিল না। এর বদলে ছিল তলোয়ার।
কারণ, তিনি তখন অভিনয় করছিলেন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার নাম-ভূমিকায়। ছবিটি পরিচালনা করেন শুভ্রজিৎ মিত্র। শ্রাবন্তী নিজেকে উজাড় করে তৈরি করেছিলেন এই চরিত্রের জন্য। আর হবে নাই বা কেন—এটি ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট।
ছবি সম্পর্কে ভারতীয় গণমাধ্যমকে শ্রাবন্তী বলেন, ‘আমার জীবনের অন্যতম অধ্যায় এটি। নিজেকে তৈরি করার জন্য সবটুকু দিয়েছিলাম। পরিচালককে খুশি করতে রাত জেগে চেষ্টা করেছিলাম। এত অভিনয় করেছি, কিন্তু কখনও ঘোড়ায় চড়িনি, তলোয়ার চালাইনি। সব কিছু শিখতে হয়েছিল ধরে ধরে। কঠিন লাগছিল ঠিকই, কিন্তু একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলাম।’
তার ভাষায়, ‘দেবী চৌধুরানী’ কেবল ছবি নয়, এটি ছিল একটি অস্ত্র। এর মাধ্যমে অনেককে জবাব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। ছবির বাজেটও এত বেশি ছিল যে, কোনো খামতি রাখার সুযোগ ছিল না। বাংলা ছাড়াও ছয়টি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক শুভ্রজিতের কাছেও এটি ছিল একটি ড্রিম প্রজেক্ট। তাই নায়ক-নায়িকার ট্রেনিং থেকে শুরু করে গোটা বিষয়টির তদারকির দায়িত্ব তিনিই নিয়েছিলেন।
পরিচালকের হাতের তুরুপের তাস ছিলেন শ্রাবন্তী। কারণ, প্যান ইন্ডিয়ান ছবিতে কোনো বলিউড তারকাকে না এনে শুধুই বাংলার তারকাদের নিয়ে ইতিহাস গড়ার চেষ্টায় ছিলেন শুভ্রজিৎ। শ্রাবন্তীও প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছেন তার এবং পরিচালকের স্বপ্ন পূরণ করতে।