বান্দরবানের লামা উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র ও রিসোর্টগুলো পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। গত রবিবার (১ জুন) বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রাণহানির ঝুঁকি এড়াতে লামায় ৬০টি পর্যটন রিসোর্ট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে লামা উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল (৫ জুন) উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে আজ শুক্রবার (৬ জুন) থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় আজ থেকে পর্যটকরা উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন।
রিসোর্ট মালিকরা জানান , পুনরায় পুরো দমে চালু হওয়ায় উপজেলার মিরিঞ্জা ভ্যালী ও সুখিয়া ভ্যালীসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট ও রিসোর্টগুলো এখন পর্যটক বরণে তাদের প্রস্তুতি গ্রহণ সম্পন্ন করেছে।
সমুদ্র পৃষ্ট থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট ওপরে এখানকার পাহাড় চুড়ায় অবস্থিত পর্যটনকেন্দ্র ও রিসোর্টগুলোতে দাঁড়িয়ে যতদূর চোখ যায় শুধুই সবুজের সমারোহ। সবুজ পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছুটোছুটি করে শুভ্র মেঘ। কখনো কখনো এক চিলতে মেঘ এসে দর্শনার্থীদের বুলিয়ে দেয় তার হিমেল পরশ।
জুমঘরের বারান্দায় বসে মেঘ পাহাড়ের লুকোচুরি খেলা প্রতিটি আগন্তুককে ভুলিয়ে দেয় তার বিগত দিনের সব ক্লান্তি। রাতের নিস্তব্ধতায় সবুজ পাহাড়ের গা ছুঁয়ে বয়ে চলা ঝর্ণার কল কল ধ্বনি যেমন পর্যটকদের শিহরিত করে, ঠিক তেমনি ভোরের দিগন্ত বিস্তৃত সাদা মেঘের ভেলা পুলকিত করে তোলে প্রতিটি সৌন্দর্য পিয়াসী মন।
সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে লামা পর্যটন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাদেকুল মাওলা বলেন , ‘বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় ঈদের আগে পর্যটকদের আগমনের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবাই ঈদ উপলক্ষে সারা দেশ থেকে আগত পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটকদের নিরাপদে লামায় ভ্রমণ এবং এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার আহ্বান জানান তিনি।
কেএন/টিকে