যশোরের বেনাপোলের ডুবপাড়ায় ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ককটেল হামলায় ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আব্দুল হাই (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন বিএনপি কর্মী।
শনিবার (৭ জুন) রাত ৯টার দিকে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুবপাড়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত আব্দুল হাই শার্শা উপজেলার ডুবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ডুবপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান জানান, ঈদের দিন সকালে ডুবপাড়া ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায়কালে পলাতক কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর উপস্থিতি নিয়ে বিএনপি কর্মী সাঈদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয় আব্দুল হাই এবং ওয়ার্ড সভাপতির। বিষয়টি নিয়ে ঈদের পরে সালিশ বসার কথা ছিল। তবে তার আগেই হামলার ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানান, রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভ্যানে থাকা অবস্থায় আব্দুল হাইসহ চারজনকে লক্ষ্য করে মোটরসাইকেলযোগে আসা সাইদসহ ৬-৭ জনের একটি সন্ত্রাসী দল পরপর ছয়টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে গুরুতর আহত হন আব্দুল হাই। হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী রাজনীতি করলেও কোনো অপরাধে জড়িত ছিলেন না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন শেখ বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
এদিকে গত দুই দিনে শার্শা ও বেনাপোল এলাকায় দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
তারা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
আরএম