অক্ষয় কুমারের ‘হাউসফুল ৫’ মুক্তির আগেই সমালোচকদের কথায় একে অনেকেই "ব্যর্থ কমেডি" বলেছিলেন। কিন্তু বক্স অফিস বলছে ভিন্ন কথা। মুক্তির প্রথম দিনেই প্রায় ২৪ কোটি রুপি আয় করে ছবিটি বুঝিয়ে দিয়েছে, উৎসবের মরসুম আর সফল ফ্র্যাঞ্চাইজির যুগলবন্দি মানেই ব্যবসার সোনা ফলানো।
‘হাউসফুল ৫’-এর এই চমকপ্রদ সূচনায় রীতিমতো চমকে গেছেন বক্স অফিস বিশ্লেষকরাও। বাণিজ্য সংস্থা স্যাকনিল্ক-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এটি অক্ষয় অভিনীত আগের ছবি ‘হাউসফুল ৪’ এবং চলতি বছরের শুরুতে মুক্তি পাওয়া ‘স্কাই ফোর্স’-এর ওপেনিং ডে আয়কেও পেছনে ফেলেছে।
চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে দুটি ভিন্ন সংস্করণে—‘হাউসফুল ৫এ’ এবং ‘হাউসফুল ৫বি’। দুটি সংস্করণেই সামান্য পরিবর্তন থাকলেও মূল গল্পে রয়েছে সেই চেনা ধাঁচের বিশৃঙ্খলা, হাস্যরস আর চমক। গল্পে রয়েছে এক বিলিয়নিয়ারের বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে আয়োজিত জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সহকারী ড. জোশির রহস্যজনক মৃত্যু। এরপর সন্দেহের তীর তিনজন ‘জলি’র দিকে—অক্ষয়, রীতেশ এবং অভিষেক। আর এখান থেকেই শুরু হয় একের পর এক কাণ্ডকারখানা, গোলমাল আর পাগলাটে কৌতুক।
তবে দর্শকের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকেই ছবির পুরনো ধাঁচের কৌতুক ও নিম্নমানের হাস্যরস নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। চিত্রনাট্যকেও অনেকেই বলছেন অলস এবং ক্লান্তিকর। সমালোচকরা ছবিটিকে বলেছেন “কিচিরমিচির”, তবে সাধারণ দর্শকের মুখে একটাই কথা—“টিকিট দিন”।
তবুও তারকাবহুল এই ছবির কাস্টিং একে এগিয়ে রেখেছে। সঞ্জয় দত্ত, নানা পাটেকর, জ্যাকি শ্রফ, ফারদিন খান, নারগিস ফাখরি ও সোনম বাজওয়ার মতো তারকারা উপস্থিত থাকায় বহু দর্শক প্রেক্ষাগৃহে ছুটছেন শুধুই তারকা দেখতে।
প্রথম দিনের মোট দর্শক উপস্থিতি ছিল গড়ে প্রায় ২৮ শতাংশ। রাতের শো-গুলোতে ছিল সবচেয়ে বেশি ভিড়।
এসএম/টিকে