করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েশন নিয়ে আবারও উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা। চীনে বাদুড়ের দেহে পাওয়া নতুন এক ধরনের করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন গভীর শঙ্কার কথা। নাম HKU5 ভাইরাস। মানুষকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা অর্জনের পথে আর মাত্র একটি জিনগত পরিবর্তনের দূরত্বে রয়েছে ভাইরাসটি।
ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী। তারা বলছেন, ভাইরাসটিতে ছোট একটি পরিবর্তন ঘটলেই এটি মানুষের শরীরে ঢুকে পড়তে পারবে। বিশেষ করে মানুষের গলা, নাক বা মুখের কোষে আটকে যেতে পারবে ভাইরাসটি, যেমনটা আগে কোভিড-১৯ ভাইরাস করেছিল।
গবেষকরা আরও বলছেন, এই নতুন ভাইরাসটি MERS নামের এক ভয়ংকর ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। MERS ভাইরাসে আগেও অনেক মানুষ মারা যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। বিজ্ঞানীদের ভয়, নতুন এই ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করলে সেটিও মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
এখন পর্যন্ত শুধু বাদুড়ের দেহেই পাওয়া গেছে ভাইরাসটি। তবে চীনের অনেক জায়গায় অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী কেনাবেচা হয়। সেখানে এই বাদুড় ও অন্য প্রাণীর সংস্পর্শে ভাইরাসটি মানুষের শরীরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা।
এছাড়াও ভয় পাওয়ার মতো আরও বিষয় হলো, এই ভাইরাস প্রথম যে চীনা গবেষণাগারে শনাক্ত হয়, সেখান থেকেই কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়ানোর সন্দেহ ছিল। চীনের গবেষকরা আরও বলছেন, এই ভাইরাসের একটি ধরন হয়তো ইতিমধ্যে মানুষের শরীরে ঢোকার ক্ষমতা পেয়ে গেছে।
তবে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এমন ভাইরাসের গতিবিধি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব বলে জানাচ্ছেন তারা।
আরআর/টিএ