গুঞ্জনটা আগে থেকেই ছিল। নানা মাধ্যম থেকেই শোনা যাচ্ছিল, ঈদ মুক্তিপ্রাক্ত শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় থাকছেন অভিনেতা সিয়াম আহমেদ ও আফরান নিশো।
তবে নির্মাতা রায়হান রাফী প্রতিবারই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে গেছেন। তিনি চেয়েছেন, দর্শকেরা সব প্রশ্নের উত্তর সিনেমা হলে গিয়েই পাক।
সেই প্রশ্নের উত্তর দর্শকেরা পেয়েছেন। তবে যতটুকু প্রত্যাশা নিয়ে গিয়েছেন, তার চেয়েও যেন একটু বেশিই চমক নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাদেরকে।
সিয়াম না আফরান নিশো? কে থাকছেন তাণ্ডবে? নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল শেষ এক সপ্তাহে ঢালিউডের সিনেমা পাড়ায়। দর্শকেরা এতটুকু অনুমান করেছিলেন, হয়তো দুজনের একজনকে দেখা যাবে পর্দায়।
কিন্তু তাণ্ডবে দেখা মিলল সিয়াম-নিশো দু’জনেরই। সেটাও কোনো সাধারণ লুকে নয়। বরং ভয়ংকর, বিধ্বংসী রূপেই ধরা দিলেন ঢাকাই সিনেমার বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় এই দুই অভিনেতা।
শাকিব খান দারুণ কিছু দেখাবেন, তার আভাস মিলেছিল আগেই, কিন্তু এই সিনেমায় নিশো এবং সিয়ামের দুর্দান্ত উপস্থিতি দর্শককে চমকে দিয়েছে। বলা হচ্ছে, একেবারে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে চরিত্র দু’টি।
বিশেষ করে সিয়ামের লুক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিস্তর। এমন লুকে এই অভিনেতাকে কেউ আগে দেখেননি। এক চোখ অন্ধ, দুর্ধর্ষ শারীরিক ভাষা, আর তেজদীপ্ত গলার স্বর, সব মিলিয়ে সিয়াম দেখিয়েছেন ভেলকি!
ঈদের সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর বিভিন্নভাবে পাওয়া গেছে দর্শকের প্রতিক্রিয়া। সিনেমা দেখে কেউ কেউ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের হয়েই, কেউ কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন নিজেদের অভিজ্ঞতা।
সকলের অভিজ্ঞতার গল্প ভিন্ন হলেও, একটা জায়গায় বেশ মিল রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে, পর্দায় নিশো-সিয়ামের দু’জনেরই উপস্থিতি দেখবেন এমনটা চিন্তাও করেননি তারা। আবার কেউ বলেছেন, সিয়ামের এমন ভয়ংকর লুক দেখে চমকে উঠেছেন হলভর্তি দর্শকেরা। পিছিয়ে ছিলেন না নিশোও। তার সংলাপ মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
জানা গেছে, দেশজুড়ে ১৩৯টি প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে ১৩৩টিতে ‘তাণ্ডব’ মুক্তি পেয়েছে। সব জায়গা থেকেই প্রশংসার বন্যা বইছে। শুধু প্রথম দিনেই সিনেপ্লেক্সে ২৮টি শো হয়েছিল, দ্বিতীয় দিন থেকে বাড়িয়ে তা ৩৫টি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আলফা আই প্রযোজিত ও রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। এছাড়াও অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, আফজাল হসেন, ডা. এজাজ, রোজী সিদ্দিকী, এফএস নাঈমসহ আরও অনেকে।
আরআর/টিএ