বলিউডে নতুন ধারার সূচনা করতে চলেছেন অজয় দেবগন। এবার ভয়, ভক্তি আর অতিপ্রাকৃত শক্তির মিশেলে তিনি গড়ে তুলছেন এক সংযুক্ত হরর মহাবিশ্ব, যার সূচনা হয়েছে ‘শয়তান’ দিয়ে, আর সেই স্রোতেই এবার যুক্ত হচ্ছে কাজলের নতুন ছবি ‘মা’।
‘শয়তান’ এ নিজে অভিনয় করেছেন অজয় দেবগন। অন্যদিকে ‘মা’ প্রযোজনা করছেন তিনি। সম্প্রতি এক আলাপচারিতায় কাজল ও আর মাধবন যখন তাদের নিজ নিজ হরর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন, তখনই উঠে আসে ‘হরর ইউনিভার্স’-এর স্পষ্ট ইঙ্গিত। কাজল বলেন, “এই গল্পে প্রতিটি সংলাপে যেন মা কালী নিজে ছিলেন, গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল।” আর মাধবনের স্বীকারোক্তি, “কিছু দৃশ্য শ্যুট করতে গিয়ে সত্যিই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।”
দুই ছবির মধ্যে মিল রয়েছে থিম ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গিতে। ‘মা’ ছবিতে এক মা ও তার মেয়ের সঙ্গে সংঘাত বাধে এক অদৃশ্য ও অশুভ শক্তির। পুরো গল্প গড়ে উঠেছে নারীকেন্দ্রিক লড়াইকে ঘিরে — যেখানে নেই কোনো পুরুষ লিড। ভয় এবং ভক্তির এই সম্মিলিত অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় তুলেছেন পরিচালক বিশাল ফুরিয়া, যিনি এর আগে ‘ছোরি’-র মতো হরর ছবি নির্মাণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
অন্যদিকে ‘শয়তান’ ইতিমধ্যেই ২০২৪ সালের অন্যতম সর্বোচ্চ আয় করা ছবির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। মাধবনের অন্ধকারময় রূপ ও ছবির গল্প দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে। এবার দেখার বিষয়, ২৭ জুন মুক্তি পাওয়া ‘মা’ ছবিটি সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারে কি না।
এই দুই ছবির পেছনে এক সুস্পষ্ট নকশা স্পষ্ট — অজয় দেবগনের হরর সাম্রাজ্য। যেখানে আধ্যাত্মিকতা, মানসিক ভয় আর অতিপ্রাকৃত ছায়া মিলে তৈরি হচ্ছে এক নতুন মহাবিশ্ব। বলিউডে এর আগে এমন সংযুক্ত হরর ইউনিভার্সের প্রয়াস দেখা যায়নি।
এসএম/টিকে