হবিগঞ্জে দু'পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ ৬০ জন আহত

হবিগঞ্জের মাধবপুরে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে ঈদের দিন কয়েক ঘণ্টাব্যাপী দু'পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার (৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে বেজুড়া গ্রামে বারঘরিয়া ও তেরঘরিয়া নামে দুটি গোষ্ঠী গ্রামীণ দ্বন্দ্বে লিপ্ত রয়েছে। এর জেরে তারা ঈদের দিন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে কমপক্ষে ৬০ জন আহত হন।

তাদের মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন- রবশির উল্লাহ (৩০), লাখাছ মিয়া (২৫), গাজী মিয়া (৩৫), ইমানউল্লাহ (৪০), রাফিউল্লাহ (২৪), মুখলেছ মিয়া (৩৫), মহিবউল্লাহ (৭০), শের আলী (৫০), হোসাইন মিয়া (৩২), বাছির মিয়া (৩০), তাউস মিয়া (৬০), ওমর ফারুক (২৫), আব্দুর রহমান (৩৫), আকাশ মিয়া (২৪), মেহেদী হাসান (২২), মোবারক মিয়া (৫০) ও হারিছ মিয়াকে (৪৫) মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের নাম এখনো জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেজুড়া গ্রামে বারঘরিয়া ও তেরঘরিয়া গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব প্রায় ৫০ বছর চলে আসছে।

এই দ্বন্দ্বে জোড়া খুনসহ একাধিক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। হয়েছে পক্ষে বিপক্ষ অনেক মামলা। তাদের দ্বন্দ্ব-সংঘাত থামাতে পুলিশ ও প্রশাসনকে বেশ বেগ পেতে হয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসন কল্পে গত দুই মাস মাধবপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন গ্রামের বিবদমান দুটো পক্ষের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি সমঝোতা বৈঠক করেন।

বৈঠক উভয়পক্ষের ১০ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় টুকটাক কোনো বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে তারা বসে মীমাংসা করে দেবেন। এরই মধ্যে ঈদের দিন বারঘরিয়া ও তেরঘরিয়ার লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে ৫০ জনের বেশি লোক আহত হন।

মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমরা চাই বেজুড়া গ্রামে শান্তি ফিরে আসুক। সেজন্য পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।

এসএম/টিকে  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ড. ইউনূসকে পাঠানো চিঠিতে কী লিখেছেন টিউলিপ Jun 08, 2025
img
ভারতের মাটিতে খেলবে আর্জেন্টিনা, আসছেন মেসিও Jun 08, 2025
img
টিউলিপের চিঠি পাওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব Jun 08, 2025
img
১৩ হাজার টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করেছে ডিএনসিসি Jun 08, 2025
img
মণিপুরে ফের বিক্ষোভ, বন্ধ ইন্টারনেট সেবা Jun 08, 2025
img
দাম না থাকায় মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে গরুর চামড়া Jun 08, 2025
img
পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগ নেতা ‘টয়লেট নাঈম’ আটক Jun 08, 2025
img
পরিস্থিতি বুঝতে প্রীতিকে ডাগআউটে বসার আমন্ত্রণ রিকি পন্টিংয়ের Jun 08, 2025
img
উপদেষ্টারা কেন ঈদের দিনে আহতদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে এলেন না? প্রশ্ন ইশরাকের Jun 08, 2025
img
আমরা চাই না অন্য কোনো দেশ আমাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করুক : জামায়াত আমির Jun 08, 2025
img
চাঁদপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ২ Jun 08, 2025
img
নারী দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে শনিবার Jun 08, 2025
img
'বহিষ্কারেও চাঁদাবাজি থামাতে ব্যর্থ বিএনপি' Jun 08, 2025
img
চঞ্চলের চমকপ্রদ উপস্থিতি: ‘ইনসাফ’-এ দর্শকদের বিস্ময়! Jun 08, 2025
img
স্পেশাল মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে কোরবানির মাংস রান্না করলেন অপু বিশ্বাস Jun 08, 2025
img
ভারতে দ্রুত বাড়ছে করোনা , ২৪ ঘণ্টা মৃত্যু ৬ Jun 08, 2025
img
টাঙ্গাইলে স্ত্রীর জানাজায় অশ্রুসিক্ত কাদের সিদ্দিকী Jun 08, 2025
img
নাসরিন সিদ্দিকীর প্রয়াণে গভীর শোক জিএম কাদেরের Jun 08, 2025
img
করোনার নতুন ভ্যারিয়েশনে আবারও মহামারির শঙ্কা Jun 08, 2025
img
সালমান খানের ঈদ মোবারক পোস্ট, ভক্তদের নানান প্রতিক্রিয়া Jun 08, 2025